কীসে আফসোস করেন বাহুবলীর ‘বল্লালদেব’?

ঝলমলে সেই অনুষ্ঠানের ফাঁকেই মনের কথা বলে ফেললেন তিনি। জানালেন কীসে তাঁর আফসোস।

Advertisement

সংবাদসংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৪২
Share:

বাহুবলীর দুই পর্বেই নজর কেড়েছেন রানা।

দেখতে দেখতে বছর দশেক ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন। তামিল-তেলুগু ফিল্মের পাশাপাশি বলিউডেও অনায়াস যাতায়াত তাঁর। তা সত্ত্বেও একটা আফসোস রয়েই গিয়েছে বাহুবলীর ‘বল্লালদেব’-এর। থুড়ি রানা দগ্গুবাতির।

Advertisement

আফসোস কেন? এখন তো তাঁর আনন্দে ভেসে বেড়ানোর সময়। ‘বাহুবলী’র রেকর্ড-ভাঙা সাফল্যের পরেও তাঁর মুখে সেই অনুতাপের কথা। সম্প্রতি তা খোলসা করলেন তিনি। বাহুবলীর পর দক্ষিণের বেশ কয়েকটি ফিল্মে কাজ করেছেন। বলিউডে শেষ বার ‘গাজি অ্যাটাক’-এ দেখা গিয়েছে রানাকে। ১১ অগস্ট মুক্তি পাবে তাঁর আগামী ফিল্ম ‘নেনে রাজু নেনে মন্ত্রী’। তেলুগু ভাষার সেই পলিটিক্যাল ড্রামা প্রি-রিলিজ অনুষ্ঠান ছিল চেন্নাইয়ে। ঝলমলে সেই অনুষ্ঠানের ফাঁকেই মনের কথা বলে ফেললেন তিনি। বললেন, “ঠাকুরদার সঙ্গে একটি ফিল্মে কাজ না করায় ব্যাপারটা নিয়ে এখনও আফসোস করি আমি।”

আরও পড়ুন: বাহুবলী’র কায়দায় জলপ্রপাতে ঝাঁপ, মৃত্যু

Advertisement


ঠাকুরদার সঙ্গে কাজ না করার আফসোস যায়নি বাহুবলীর ‘বল্লালদেব’ রানা দগ্গুবাতির।

ছোট থেকেই রানাদের বাড়িতে ফিল্মের আবহ ছিল। হবে না-ই কেন? বাবা-ঠাকুরদা দু’জনেই দক্ষিণের নামজাদা ফিল্ম প্রযোজক। ঠাকুরদা ছিলেন দক্ষিণের বিখ্যাত প্রযোজক ডি রামানাইডু। বছর দু’য়েক আগে মারা যান তিনি। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর ব্যক্তিগত ভাবে সবচেয়ে বেশি ফিল্ম প্রযোজনার রেকর্ড রয়েছে তাঁর। ৭৮ বছরের জীবনে ১৩টি ভাষায় দেড়শোরও বেশি ফিল্ম প্রযোজনা করেছেন রামানাইডু।

আরও পড়ুন: প্রভাসের নতুন লুক, দেখলে অবাক হবেন!

তবে যে কোনও কারণেই হোক ঠাকুরদার সঙ্গে একই ফিল্মে কাজ করা হয়ে ওঠেনি নাতি রানার। সে কথা মনে করে আবেগে ভেসে গেল রানার গলার স্বর। বললেন, “ঠাকুরদা মারা যাওয়ার পর আমার জীবনে অনেক ভাল ভাল ঘটনা ঘটেছে। আমি জানি, ওপর থেকে আমাকে আশীর্বাদ করছেন তিনি।” সেই দুঃখ না কাটলেও বাবার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন রানা। ‘নেনে রাজু নেনে মন্ত্রী’র প্রযোজনা করছেন রানারই বাবা ডি সুরেশ বাবু। আর তা নিয়ে একেবারে আপ্লুত রানা। হাসি মুখে বললেন, “আমাদের বাড়িতে সব সময়ই ফিল্ম নিয়ে আলোচনা চলে। আর বাবার সঙ্গে এটাই আমার প্রথম ছবি। তাই এই প্রজেক্টটা আমার কাছে খুব স্পেশাল। এটা আমার জীবনের অন্যতম সুখের এক্সপেরিয়েন্স!”

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন