একেবারেই সাদামাটা চেহারা। বিনোদন জগতের অন্য গায়কদের মতো ঝাঁ-চকচকে ভাবটা একেবারেই নেই। তবে মাইক হাতে মঞ্চে উঠলে মুগ্ধ হয়ে শুনতে হয় অমিত সানার গান। এর পর থেকে বেশ কিছু দিন দর্শকের নজর থেকে গায়েব হয়ে যান অমিত। কোথায় তিনি? কী করছেন এখন?
টেলিভিশনের পর্দায় অমিতকে দেখা গিয়েছিল প্রায় বছর ১২ আগে। ২০০৫-তে প্রথম ‘ইন্ডিয়ান আইডল’এর ফাইনালে অভিজিৎ সবন্তকে কড়া টক্কর দিয়েছিলেন। তবে শেষমেশ তাঁর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। ফাইনালে অমিতকে হারিয়ে আইডলের ট্রফি নিয়ে যান অভিজিৎ। সে সময় অনেক দর্শকেরই মতে, ট্রফিটা অমিতেরই পাওয়া উচিত ছিল। তবে আইডলের মঞ্চে নজর কাড়লেও সে সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি অমিত। মাঝের কয়েকটা বছর যেন হারিয়ে গেলেন ছত্তীসগঢ়ের ভিলাইয়ের ছেলেটি।
আরও পড়ুন
এই তারকা যুগলদের বয়সের ফারাক কত জানেন?
প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবেই কেরিয়ার গড়তে চান অমিত।
হতাশার বছরগুলিতেও হার মানেননি মধ্যবিত্ত ঘর থেকে উঠে আসা তরুণ অমিত। ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট-এর ডিগ্রি থাকলেও গানকেই আঁকড়ে ধরে থেকেছেন এত দিন। তার মাঝেই ‘চল দিয়ে’, ‘ইয়াদেঁ’-র মতো পপ অ্যালবামেও শোনা গিয়েছে তাঁর গান। তা সত্ত্বে সাফল্য যেন আসছিল না ধরাছোঁয়ার মধ্যে। ২০০৮-এ রিয়্যালিটি শো ‘জো জিতা ওহি সিকান্দর’-এ দেখা গিয়েছিল অমিতকে। তবে সেখানেও তেমন দাগ কাটতে পারেননি তিনি। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুশীলন থাকলেও পপ গানের জগতেই নাম করতে চেয়েছেন অমিত।
২০১০-এ গান গাওয়া থেকে সাময়িক বিরতি দিয়ে সুর তৈরির কাজেও হাত দেন। কিন্তু, তাতেও বড় দাগ কাটতে পারেননি। সম্প্রতি ফের মঞ্চে দেখা যাচ্ছে অমিতকে। উস্তাদ রশিদ খানের অন্ধ ভক্ত অমিত ঠিক করেছেন, এ বার থেকে প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবেই কেরিয়ার গড়বেন। বেস্ট অব লাক অমিত!
ছবি: সংগৃহীত।