Kanchan Mullick - Pinky Banerjee

প্রাক্তন স্বামী কাঞ্চনের বিয়ের দিন তিনেক আগে ফেসবুকে কী পোস্ট করেছিলেন পিঙ্কি?

কাঞ্চন-শ্রীময়ীর আইনি বিয়ের খবর পেয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পিঙ্কি। তবে প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের তিন দিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০২৪ ১৭:৩০
Share:

(বাঁ দিকে) কাঞ্চন-শ্রীময়ী। পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ২৩ দিনের মাথায় আইনি বিয়ে সেরেছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। প্রেম দিবসের দিন শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে আংটিবদলও করেন কাঞ্চন। তবে বিবাহবিচ্ছেদের আগে পর্যন্ত এই সম্পর্কের বিষয়ে স্পষ্ট করে প্রকাশ্যে কিছু জানাননি দু'জনেই। তবে জল্পনা, চর্চা তো ছিলই। পিঙ্কির দাবি ছিল, কাঞ্চন উত্তরপাড়ার বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই দু’জনের মেলামেশা বেড়ে যায়। প্রাক্তন স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে মুখও খুলেছিলেন পিঙ্কি। জল গড়িয়েছিল থানা-পুলিশ পর্যন্ত। সেই সময় শ্রীময়ী জানিয়েছিলেন, কাঞ্চন তাঁর দাদার মতো। ‘গুরু’ এবং ‘শিষ্যা’র সম্পর্ক তাঁদের। কাঞ্চনও পিঙ্কির বিরুদ্ধে তাঁর নামে কুৎসা রটানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। কিন্তু সেই সময় কাঞ্চনের পাশে সর্ব ক্ষণ শ্রীময়ীকেই দেখা যেত। রাজনৈতিক সমাবেশ কিংবা কাঞ্চনের বাড়ির পুজো— শ্রীময়ী আর কাঞ্চন এক ফ্রেমে থাকতেন। কিন্তু সম্পর্ক নিয়ে একটা ধোঁয়াশা তৈরি করে রেখেছিলেন তাঁরা। অবশেষে সব জল্পনা সত্যি করে শ্রীময়ীকেই বিয়ে করলেন কাঞ্চন। কাঞ্চন-শ্রীময়ীর আইনি বিয়ের খবর পেয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন পিঙ্কি। তবে প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের তিন দিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছিলেন তিনি।

Advertisement

দশ বছরের ছেলে ওশের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় খোরপোশ দাবি করেছিলেন পিঙ্কি। দাবি মতো তিনি কাঞ্চনের থেকে ৫৬ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। ছেলেকে নিয়ে অনেক দিন থেকেই আলাদা থাকেন পিঙ্কি। তবে কোর্ট থেকে ছেলের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেয়েছেন কাঞ্চন। শ্রীময়ী-কাঞ্চনের বিয়ের খবর পৌঁছেছে পিঙ্কির কাছেও। পিঙ্কি স্পষ্ট জানিয়েছেন, কাঞ্চনের সঙ্গে তাঁর আর কোনও সম্পর্কে নেই। সুতরাং এই ধরনের চর্চায় তাঁকে না জড়াতে। কিন্তু প্রাক্তন স্বামীর বিয়ের দিন তিনেক আগে সমাজমাধ্যমে একটি নিজস্বী পোস্ট করেছিলেন পিঙ্কি। সেই ছবির নেপথ্য থেকে ভেসে এসেছে একটি উচ্চারণ— ‘‘জীবন সবাইকে চমক দেয়। আর চমকের জন্যেই জীবন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন