কিন্তু কেন? ফেলুদা তো আছেনই। আবীর চট্টোপাধ্যায়। হঠাৎ কী এমন ঘটল?
আসলে আবীর চট্টোপাধ্যায় একই সঙ্গে ব্যোমকেশ ও ফেলুদা করার পর থেকে দর্শকদের মধ্যে নাকি আপত্তি উঠছে। ‘‘একই মানুষ ফেলুদা আর ব্যোমকেশ দুটো চরিত্রে অভিনয় করছে, এটা আমারও খারাপ লাগে। শুধু আমারই নয়। আমি তো কেবল আমার ভাল লাগার জন্য ছবি করি না। দর্শকেরও একই মানুষকে ব্যোমকেশ আর ফেলুদা ভাবতে অসুবিধে হচ্ছে,’’ বললেন সন্দীপ রায়।
এই প্রসঙ্গে বলা যায় ‘ব্যোমকেশ ফিরে এল’ ও ‘বাদশাহি আংটি’ রিলিজ করেছিল একই দিনে। ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪। ফেলুদা না ব্যোমকেশ? কোন ইমেজে আবীরকে তাঁরা বেশি মনে রাখবেন? সমস্যার শুরু এখান থেকেই।
এ দিকে ফেলুদা প্রকাশের পঞ্চাশ বছরে ফেলুদার দুটো গল্প নিয়ে একটা ছবি করার প্ল্যানই শুধু নয়, চিত্রনাট্য লিখতে শুরু করে দিয়েছেন পরিচালক। কিন্তু ফেলুদা পাওয়া যাচ্ছে না।
ফেলুদা হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথা ভেবেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ। শুধু ঋতুপর্ণই নন, সৃজিত মুখোপাধ্যায় এমনকী সন্দীপ রায়েরও মনে হয়েছে সৌরভ ‘আইডিয়াল ফেলুদা’। কিন্তু সৌরভ নিজে বাংলা ছবিতে অভিনয় করতে রাজি নন। অনেকে আবার ফেলুদা হিসেবে যিশু সেনগুপ্তর কথাও ভেবেছেন। অঞ্জন দত্তর ‘ব্যোমকেশ বক্সী’ করার পর যিশুও একই দোষে দুষ্ট।
বাঙালিদের মধ্যে ছ’ফুট দু ইঞ্চি উচ্চতা, টিকোলো নাক, বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা কি তবে ‘কম পড়িয়াছে’?
ডবল ফেলুদার প্রযোজক ইরস ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে জানানো হয় চরিত্র নির্বাচন সম্পূর্ণ পরিচালকের বিষয়। তাঁদের কিছু বলার নেই। যদিও ইন্ডাস্ট্রির খবর, প্রযোজকের পক্ষ থেকেও নাকি বলা হয়েছে আবীর চট্টোপাধ্যায় নিঃসন্দেহে তাঁদের পছন্দের ফেলুদা। তবে ব্যোমকেশ বা ফেলুদা দু’টোর মধ্যে একটাকে বেছে নিতে হবে আবীরকে। আবীর চট্টোপাধ্যায় যদিও ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিচ্ছেন তিনি ব্যোমকেশ এবং ফেলুদা, দুই চরিত্রেই অভিনয় করতে চান।
তা হলে কি আবীরই শেষ অবধি সন্দীপ রায়ের ফেলুদা থাকবেন? ‘‘আবীরের সঙ্গে যেটুকু কথা হয়েছে তাতে আমি ওকে বলেছি শুধুই ফেলুদা চরিত্রে অভিনয় করতে। কিন্তু এর বেশি জোর তো দিতে পারি না। এটা ওর সিদ্ধান্ত। তবে আমি জানি ব্যোমকেশ এবং ফেলুদা
দুটো চরিত্রই আবীরের খুব প্রিয়। আমাদের হাতে এখনও সময় আছে। অযথা তাড়াহুড়ো করে কিছু করতে চাই না।’’ চিন্তিত মনে হল সন্দীপ রায়কে।
ব্যোমকেশ চরিত্রে যিশু সেনগুপ্ত, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়, আবীর চট্টোপাধ্যায়কে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।
এ বার কি তবে ফেলুদাও বদলে যাবে? না কি ফেলুদা খুঁজতে গোয়েন্দা লাগাতে হবে?