‘শোলে’র সিক্যুয়েল তৈরি হবে? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
অর্ধশতক পার করেও জয়-বীরুর ‘দোস্তি’ অটুট। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের প্রতি এখনও দর্শকের ভালবাসায় বিন্দুমাত্র ঘুণ ধরেনি। বরং ৫০ বছর পরেও ‘শোলে’র জনপ্রিয়তা তুঙ্গেই। এই আবহেই আবার শোনা যাচ্ছে, সিক্যুয়েল তৈরি হতে পারে এই ছবির। কী বলছেন তারকা পরিচালক রমেশ সিপ্পি?
১৯৭৫ সালে সারা দেশ কাঁপিয়ে দিয়েছিল জয়-বীরু জুটির দুঃসাহসিক অভিযান, গব্বরের হাড়কাঁপানো হাসি আর ঠাকুরসাবের ইস্পাতকঠিন প্রতিজ্ঞা! ৭০ মিমি পর্দা জুড়ে দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন, ধর্মেন্দ্র, সঞ্জীব কুমার, আমজাদ খান, জয়া বচ্চন, হেমা মালিনীরা। ৫০ বছর ধরে ভারতীয় দর্শকদের একটা বড় অংশের প্রশ্ন ছিল, এই ছবির কি সিক্যুয়েল তৈরি হবে না কোনওদিন? কিন্তু সেই প্রশ্নের কোনও জবাব এত দিন মেলেনি। তবে এ বার এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন পরিচালক।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রমেশ বলেন, “এই বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু আমার কোনও দিনই সে ভাবে ইচ্ছা জাগেনি। আমি যা বানাতে চেয়েছিলাম, প্রথম বারেই তা তৈরি হয়েছে। তার যে রিমেক বা সিক্যুয়েল তৈরি করতেই হবে, এমন বাধ্যবাধকতা আমার নেই। সিক্যুয়েলের ধারণাটা আগে ভাল করে বুঝতে হবে। আমজাদ খান ও সঞ্জীব কুমার আমাদের মাঝে আর নেই। সেখানে আমজাদের মতো একটা এত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। সঞ্জীবের বদলে তাও হয়তো অন্য কোনও অভিনেতাকে দিয়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু ‘গব্বর’ তো ও ভাবে হবে না।” তাঁর মতে, একটা অপূর্ণতা, হতাশা থেকেই যাবে।
রমেশের কথায়, “আমার মনে হয়েছিল এই সিক্যুয়েল তৈরির সিদ্ধান্তটা বোকামি হবে। অন্যদের মত ভিন্ন হতে পারে। ব্যক্তিগত ভাবে আমার মনে হয়, ‘শোলে’ আর তৈরি করা উচিত নয়।”
যদি এই সময় দাঁড়িয়ে ‘শোলে’ তৈরি করা হত, তা হলে জয় ও বীরুর চরিত্রে কাকে বাছতেন রমেশ? পরিচালকের পরিষ্কার জবাব, “আমি এই ছবি আবার তৈরির কথা ভাবছিই না। কারণ, আমি এমন করবই না। ভাল প্রশ্ন, আমি এর বিরুদ্ধে নই। কেবল, আমি কখনও এ ভাবে ভাবিনি।”
উল্লেখ্য, ‘শোলে’ ছবির পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে ১২ ডিসেম্বর দেশের প্রায় দেড় হাজার প্রেক্ষাগ়়ৃহে এই ছবি পুনরায় মুক্তি পাবে।