প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন ঐশ্বর্যা। ছবি: সংগৃহীত।
অন্ধ্রপ্রদেশে এক আধ্যাত্মিক গুরুর জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে হাজির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। পরনে হলুদ সালোয়ার কামিজ, কপালে ছোট্ট টিপ। মঞ্চে উঠে আগেই প্রধানমন্ত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। মঞ্চে সেই আধ্যত্মিক গুরুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু কথা বললেন। একই সঙ্গে, ধর্ম ও জাতপাত নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশের পুত্তাপার্থিতে ওই অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঐশ্বর্যা জানান, নিয়মানুবর্তিতা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, শ্রদ্ধা, বৈষম্যের মধ্যেও ঐক্য— এই পাঁচটি একক দিয়ে গাঁথা মানুষের জীবন। তিনি নিজে একটি ধর্ম ও একটি জাতে বিশ্বাসী। সেটি হল মানবতা ও ভালবাসা। সেই ভালবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার মধ্যেই সার্থকতা। ঐশ্বর্যা বলেন, ‘‘আমি মনে করি, মানবতাই সব থেকে বড় ধর্ম। আর ঈশ্বর একটাই, তিনি সর্বত্র রয়েছেন।’’
বরাবরই নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন ঐশ্বর্য়া। বিশ্বসুন্দরী হওয়ার পর থেকেই নানা সামাজিক ও ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে একটা বড় সময় ধরে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। যদিও গত কয়েক বছর ঐশ্বর্যাকে তাঁর পোশাক নির্বাচন থেকে চেহারার গড়ন নিয়ে বার বার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু কোনও ধরনের নেতিবাচক কথায় মন দিতে চান না তিনি। বরং তিনি ঘোষণা করেন, ‘‘যেমন আছি ভাল আছি।’’