ঊর্বশী
গাঢ় লিপস্টিক, কপালে কুমকুম আর বাহারি শাড়িতে সেজে যখনই পর্দায় আসতেন তিনি, ভেসে উঠত সুর— ‘ক-ম-লি-কা’! ‘কসৌটি জ়িন্দেগি কে’র কমলিকা চরিত্রের হাত ধরেই নজরে পড়েছিলেন ঊর্বশী ঢোলাকিয়া। তাঁকে সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে ‘কিচেন চ্যাম্পিয়ন’ নামে একটি শোয়ে। ধারাবাহিক ছেড়ে রান্নাবান্নায় মনোযোগ দিলেন কেন? ‘‘কী আর করব। ‘বিগ বস’-এ কত রান্না করেছি, এখন আবার এটা। চ্যানেল রান্না করিয়ে আমাকে এমন পটু করে দিয়েছে যে মনে হয়, যত জনের রান্নাই হোক না কেন, ঠিক করে দিতে পারব,’’ হেসে জবাব দিলেন ঊর্বশী। যদিও তিনি জানিয়ে দিলেন, হাফ ফ্রায়েড এগ ছাড়া তেমন কিছু ভাল রাঁধতে পারেন না।
‘কসৌটি...’র দশ বছর পরে ধারাবাহিকের সিকুয়েল হচ্ছে। মূল চরিত্রগুলির নাম একই রয়ে গিয়েছে। সিকুয়েলে কমলিকার চরিত্রে হিনা খানের সঙ্গে তাঁর তুলনা এসেছে স্বাভাবিক ভাবেই। ‘‘আমি সত্যিই দর্শকের কাছে কৃতজ্ঞ কমলিকার চরিত্রে আমাকে ভালবাসার জন্য। তবে ‘কসৌটি জ়িন্দেগি কে টু’র প্রেক্ষাপট, গল্পও অন্য রকম। তাই তুলনা না করাই মনে হয় ভাল।’’ চরিত্র না বদলালেও ইন্ডাস্ট্রি এখন অনেক পরিণত বলেই মানছেন অভিনেত্রী। সময়ের হিসেবজ্ঞানও বেড়েছে। ‘‘ইন্ডাস্ট্রি বাড়লে, বড় প্ল্যাটফর্ম তৈরি হলে আমরা শিল্পীরাও লাভবান হব, তাই না?’’
মাত্র আঠেরো বছর বয়স থেকেই ঊর্বশী একা মানুষ করেছেন দুই ছেলে সাগর আর ক্ষিতীশকে। এত অল্প বয়স থেকে একা সন্তান মানুষ করা বেশ কঠিন কাজ বলে মনে হলেও তা নিয়ে ভাবতে চান না অভিনেত্রী। বললেন, ‘‘পুরোটাই নির্ভর করছে আপনার দৃষ্টিভঙ্গির উপরে। কঠিন ভাবলে কঠিন। কিন্তু আমার পাশে সব সময়ে পরিবার ছিল। মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী... সকলে। তাই কাজটা কঠিন বলে ভাবতেই চাইনি।’’
#মিটু আন্দোলন প্রসঙ্গেও নিজেকে শক্ত করে ধরে রাখার বার্তাই দিলেন তিনি। বললেন, ‘‘এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল প্রসঙ্গ। সবাই যেমন খুশি মন্তব্য এতে করতে পারে না। প্রত্যেকের অভিজ্ঞতাও আলাদাই। শুধু বলব, আমরা মেয়েরা অনেক ক্ষমতা ধরি। তাই ভেঙে না পড়ে মোকাবিলা করাই শ্রেয়।’’
ঊর্বশীর দুই ছেলেই অভিনেতা হতে চান। তাঁরা অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন। ছেলেদের পাশে থাকাতেই তাঁর ভাল থাকা। আর বিয়ে? জোরে হেসে উঠলেন ঊর্বশী।