Koushani Mukherjee Birthday

‘বনির জীবনের দুই প্রিয় নারীই জাঁদরেল’, কৌশানীর কোন গুণ মোটে পছন্দ নয় হবু শাশুড়ি পিয়ার?

১৭ মে কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। বিশেষ দিনে সকাল থেকে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন নায়িকার হবু শাশুড়ি পিয়া সেনগুপ্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২৫ ১৩:১৭
Share:

কৌশানীর জন্মদিনে কী পরিকল্পনা পিয়ার? ছবি: সংগৃহীত।

১৭ মে অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিন। এই বিশেষ দিনটা বরাবরই ধুমধাম করে পালন করতে ভালবাসেন অভিনেত্রী। প্রতি বছরই জন্মদিনের আগে থেকেই কেক কাটা শুরু হয়ে যায়। অনুরাগীরাও বিশেষ আয়োজন করেন তাঁদের প্রিয় নায়িকার জন্য। তবে মা-কে হারানোর পর কৌশানীর জন্মদিনগুলো একটু অন্য রকম। অবশ্য তাঁকে এক মিনিটও মনখারাপ করার সুযোগ দেন না হবু শাশুড়িমা পিয়া সেনগুপ্ত। সেই সঙ্গে তাঁর বাবা, মাসি, মেসো তো আছেনই।

Advertisement

প্রেমিক বনি সেনগুপ্ত প্রতি বছরই কৌশানীকে উপহারে ভরিয়ে দেন। মা-কে হারানোর পর হবু শাশুড়ি পিয়ার দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। সে কথাই আনন্দবাজার ডট কমকে জানালেন পিয়া। তিনি বললেন, “কৌশানীকে সব সময় আমরা আদর-যত্নে রাখার চেষ্টা করি। এ দিন সকাল থেকেই বাড়িতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। কী রান্না হবে, যতটা বিশেষ ভাবে দিনটা গড়ে তোলা যায়।’’

পিয়া বললেন, “সকাল থেকেই রান্নাবান্না শুরু হয়ে গিয়েছে। কৌশানী চিংড়ি মাছ, পাঁঠার মাংস খেতে ভালবাসে। সেই সব রান্নারই তোড়জোড় চলছে। আমাদের খুব আদরের মেয়ে। খালি মাঝেমাঝে মাথাগরম। ওটাই একটু কমালে ভাল হয়। আমাদের প্রত্যেকের জন্য ও এত ভাবে, তাই ওর জন্মদিন এলেই আমি চিন্তায় পড়ে যাই। ভাবি কী করলে ও খুশি হবে। কৌশানী এত মিশুকে, এটাই আমার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে।”

Advertisement

নায়িকা স্নান সেরে এলেই আগে আশীর্বাদ পর্ব হবে। তার পর পায়েস খাইয়ে দেবেন পিয়া। এই ভাবেই দিনের শুরুটা পরিকল্পনা করে রেখেছেন তিনি।

পিয়া বললেন, “সকালটা বাড়িতেই কাটবে। রাতে তার পর দেখা যাবে। আমাদের এমনিতে মা-মেয়ের খুব মিল। দু’জনেরই রাগ হলে ফাটাফাটি চেঁচিয়ে নিই। মাঝে পড়ে যায় বনি। ওর জীবনের দুই প্রিয় নারীই খুব জাঁদরেল।” বাড়ির প্রত্যেকের জন্মদিন মনে করে পালন করেন নায়িকা। বিশেষ উপহার, কে কী ভালবাসে সবটা নিজের হাতে আয়োজন করতে ভালবাসেন। তাই হবু শাশুড়ি পিয়াও এই দিন সব তাঁর প্রিয় জিনিসে অভিনেত্রীকে ভরিয়ে দিতে চান। তবে নায়িকাকে কী উপহার দেবেন বুঝতে পারেন না। তাই কৌশানী নিজের মনের মতো জিনিস কিনে নেন, খালি টাকা দেওয়ার দায়িত্ব নেন পিয়া।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement