জ়ুবিনের মৃত্যুতে অবশেষে গ্রেফতারি। ছবি: সংগৃহীত।
জ়ুবিন গার্গের মৃত্যুর পরে প্রায় সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় অবশেষে গ্রেফতার প্রয়াত গায়কের আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মা ও ‘নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যাল’-এর আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত। তদন্তের জন্য দু’জনকেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল দিল্লিতে। সেখানেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শ্যামকানু মহন্তকে দিল্লির বিমানবন্দর থেকে এবং সিদ্ধার্থকে দিল্লির এক আবাসন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জ়ুবিনের মৃত্যুর পরে প্রথম থেকেই এঁদের দিকে আঙুল উঠছিল। স্কুবা ডাইভিং করতে নেমে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। তখন পরনে ছিল না কোনও ‘লাইফ জ্যাকেট’। কী ভাবে এত বড় গাফিলতি, সেই প্রশ্ন উঠেছে বার বার। নিশানায় ছিলেন সিদ্ধার্থ ও শ্যামকানু। তাঁদের দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছিল।
কিছু দিন আগে এই ঘটনায় আটক করা হয়েছিল জ়ুবিনের ব্যান্ডের আর এক সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামীকে। তার পর থেকেই সিদ্ধার্থ ও শ্যামকানুর খোঁজ চলছিল। গায়কের মৃত্যুর পর থেকে তাঁরা গুয়াহাটিতে ফেরেননি। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ৬ অক্টোবরের মধ্যে দু’জনকেই বিবৃতি দিতে হবে। তিনি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে বলেছিলেন, “দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে। তাই চাইছি না, এখনই ওঁরা আসুন। কিন্তু ৬ অক্টোবর ওঁদের ফিরতেই হবে গুয়াহাটিতে এবং সিআইডিকে বিবৃতি দিতে হবে।”
দিন কয়েক আগে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে মুখ খুলেছিলেন সিদ্ধার্থ। সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে জ়ুবিনের বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। সেই সঙ্গে বলা হয়, গায়কের টাকাও নাকি নয়ছয় করেছেন তিনি। সমস্ত কটাক্ষের জবাবে সিদ্ধার্থ হলেন, “এই গুঞ্জন একেবারেই ভিত্তিহীন এবং দুঃখজনক। ওঁর মৃত্যুর তদন্তের জন্য তৈরি বিশেষ দলের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি এবং ভবিষ্যতেও করব।” সব শেষে জ়ুবিনের অনুরাগীদের কাছে তাঁর অনুরোধ, “দয়া করে শান্তিতে তদন্ত হতে দিন। জ়ুবিনদার প্রতি এটুকু আমাদের কর্তব্য।”