কোন কোন সালের জাতকদের ঝুঁকি বেশি? কী বলছে গবেষণা? ছবি : সংগৃহীত।
জ্যোতিষ নয়, এ ভবিষ্যদ্বাণী আদ্যোপান্ত জীববিজ্ঞানের গবেষকদের। এক সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গোটা বিশ্বে কয়েকটি নির্দিষ্ট সালে যাঁরা জন্মেছেন, তাঁরা জীবনের কোনও না কোনও সময়ে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত হবেন! হিসাব করে দেখা গিয়েছে, তাতে অন্তত দেড় কোটি মানুষের জীবন বিপন্ন হতে চলেছে। আর এঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন ভারতীয়েরাই।
খবরটি প্রকাশ করেছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। তবে যে গবেষণা নিয়ে খবরটি লেখা, সেই গবেষণাটি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(হু)-র একটি সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (আইএআরসি)।
বিশ্বের ১৮৫টি দেশ থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা জানিয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে যাঁরা জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ১ কোটি ৫৬ লক্ষ মানুষের গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। যার ৭৬ শতাংশই আবার হবে একটি বিশেষ ব্যাক্টেরিয়ার কারণে। যার নামটি বেশ অদ্ভুত— হেলিকোব্যাক্টার পায়োরি।
গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘নেচার মেডিসিন’ জার্নালে। কী লেখা হয়েছে সেখানে? গবেষকেরা লিখেছেন, ওই ব্যাক্টেরিয়া সাধারণত পাকস্থলীতে থাকে। কিন্তু আধুনিক প্রজন্মের খাওয়াদাওয়া এবং জীবনযাপনের অভ্যাসের বদলের কারণে ওই ব্যাক্টেরিয়া থেকে প্রদাহ বেড়ে আলসার এবং ক্যানসারের মাত্রা বাড়ছে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই ১ কোটি ৫৬ লক্ষ সম্ভাব্য গ্যাস্ট্রিক আলসারের রোগীর মধ্যে ১ কোটি ৬ লক্ষ এশিয়ার বাসিন্দা। তার মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে চিন এবং দ্বিতীয় স্থানে ভারত।
গবেষকেরা অবশ্য বলেছেন, এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। তাঁদের মতে, জীবন যাপনের অভ্যাস বদলে এবং ওই ব্যাক্টেরিয়াকে সামলে চলা গেলে ক্যানসারের ঝুঁকি ৭৫ শতাংশ কমানো যাবে।