Silent Heart Attack

স্কুলে পরীক্ষা দিতে বসে প্রাণ হারাল কিশোর, নেপথ্যে হার্টের জটিল রোগ

পড়াশোনা নিয়ে মানসিক চাপ, পরীক্ষা বা ফলাফল বেরোনো নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্বেগ হওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে সেখান থেকে হৃদ‌্‌যন্ত্র বিকল হয়ে মৃত্যুর জন্য দায়ী কোন অসুখ?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩ ১৪:০০
Share:

— প্রতীকী চিত্র।

পরীক্ষার ভয়ে মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং সেখান থেকে মৃত্যু। অনেকটা তেমনই ঘটেছিল গুজরাতের রাজকোটের বাসিন্দা ১৭ বছর বয়সি মুদিত নাদিয়াপারার ক্ষেত্রে। মুদিত, রাজকোটের লাল বাহাদুর শাস্ত্রি স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার দিন কয়েক আগে থেকে ওই ছাত্রটি সংক্রমণজনিত জ্বর, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যায় ভুগছিল।

Advertisement

একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই মাসের ১৭ তারিখ মুদিত স্বাভাবিক, সুস্থ শরীরেই স্কুলে গিয়েছিল। ঘটনাচক্রে সে দিনই স্কুলে গুজরাতি ভাষার উপর একটি পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। শিক্ষক দক্ষা রোজিয়ার বলেন, পরীক্ষা শুরুর ছিক আগের মুহূর্তে হঠাৎ মুদিত অচৈতন্য হয়ে পড়ে। স্কুলের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষকদের সাহায্যে প্রাথমিক ভাবে ‘সিপিআর’ দেওয়া হয় ওই ছাত্রটিকে। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অ্যাম্বুল্যান্সে খবর দেওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।

পড়াশোনা নিয়ে মানসিক চাপ, পরীক্ষা বা ফলাফল বেরোনো নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের উদ্বেগ হওয়া খুবই স্বাভাবিক বিষয়। যে কোনও বয়সে যে কোনও মানুষেরই এমনটা হতে পারে। তবে মুদিতের ক্ষেত্রে বিষয়টি একটু আলাদা। ময়নাতদন্তের পর মুদিতের চিকিৎসক জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই মুদিত ‘কার্ডিয়োমায়োপ্যাথি’-তে ভুগছিল। তার হৃদ‌্‌যন্ত্রের বাঁ দিকের প্রকোষ্ঠটির দেওয়াল এতটাই পুরু হয়ে গিয়েছিল যে, সেখানে শুধুমাত্র ফাইবার টিস্যু ছাড়া পেশির কোনও অস্তিত্বই পাওয়া যায়নি। সারা দেহে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে হৃদ্‌যন্ত্রের এই পেশিগুলি। এই শারীরিক জটিলতা নিয়ে সুস্থ থাকা অস্বাভাবিক। যদি এমন দুর্ঘটনা না ঘটত, তা হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই হৃদ্‌যন্ত্রের এই অংশটি ফেটে যেত।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন