শুষ্ক ত্বক, ঘা না শুকনো চর্মরোগ না-ও হতে পারে, তা হলে কী? ছবি: ফ্রিপিক।
শুষ্ক ত্বক অনেকেরই হয়। তা অস্বাভাবিক নয়। তবে যদি ত্বকে আচমকা কিছু বদল লক্ষ্য করেন, তা হলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না। ত্বক শুকিয়ে খসখসে হয়ে যাওয়া, তাতে কালচে দাগছোপ, অথবা কেটে বা ছড়ে গলে সেই ক্ষত শুকোতে দেরি হওয়া— এই সবই সাধারণ লক্ষণ নয়। তা জানান দেয় কোন রোগ তলে তলে বাসা বাঁধছে শরীরে।
‘ডায়াবেটিক উন্ড-হিলিং সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে লেখা হয়েছে, ডায়াবিটিসের উপসর্গ মানে শুধু ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ নয়। ত্বকেও তার রেশ পড়ে। রক্তে শর্করা বাড়তে শুরু করলে জলের ঘাটতি হতে থাকে। ফলে ত্বক শুকিয়ে যায় ও নানা রকম লক্ষণ ফুটে ওঠে। মূলত রক্তে শর্করার মাত্রা বিপদসীমা ছাড়িয়ে গেলে অর্থাৎ, হাইপারগ্লাইসেমিয়া হলে তখন ত্বকের কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যায়। কী কী সেই লক্ষণ?
আঁশের মতো ত্বক, তাতে কালচে ছোপ
গলায়, ঘাড়ে বা কনুইতে কালচে দাগ দেখা দেয় অনেকের। ঘাড়ের কাছে চামড়া কুঁচকে যাওয়া, সেখানে ফুস্কুড়ি, চুলকানির সমস্যাও হয়। অনেকেই ভাবেন, ময়লা জমে কালচে দাগ হয়েছে। তা কিন্তু নয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ‘অ্যাকান্থোসিস নিগ্রিকানস’। লিভারে মেদ জমলে বা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে শুরু করলে, এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ক্ষত শুকোবেই না
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ডায়াবিটিস অ্যান্ড কিডনি ডিজ়িজ়’-এর তথ্য অনুযায়ী রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে স্নায়ুতে। ফলে স্নায়ুর সঙ্কেত আদানপ্রদানে সমস্যা হয়। তখন ত্বকের অসাড়তা বাড়ে। হাতে, পায়ের তলায় সাড় থাকে না অনেক সময়েই। সেই সঙ্গেই কোষে কোষে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত কম পৌঁছয়। ফলে কোষের মেরামতি হয় না। তাই ক্ষতস্থান সহজে শুকোতেও চায় না।
ঘন ঘন সংক্রমণ
রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, যার ফলে বিভিন্ন সংক্রমণ সহজেই বাসা বাঁধতে পারে। ব্যাক্টেরিয়া, ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ ঘন ঘন হতে থাকবে। ব্রণ, ফুস্কুড়ি, র্যাশ সহজে সারতে চাইবে না।