ছবি : সংগৃহীত।
এমনিতেই শীতে নানা ধরনের খাওয়াদাওয়ার প্রলোভন থাকে চারপাশে। তার উপর পার্টির মরসুমে খাওয়াদাওয়া সামলানো আরও মুশকিল। তবে সমস্যা সত্যিকারের বাড়ে ভারী খাওয়াদাওয়ার পরে বাড়ি ফিরে। বিছানায় শোয়ার পরে বোঝা যায় অস্বস্তি। কারও পেট ভার হয়ে থাকে। কারও বুকে আনচান ভাব। পেটে ব্যথা, গলা জ্বালা, বমি ভাবের মতো উপসর্গও দেখা যায়। এই সব সমস্যা থেকে দূরে থাকতে হলে ভারী খাওয়ার পরে রাতে শুতে যাওয়ার আগে খেয়ে নিন এক কাপ বিশেষ পানীয়। যা তৈরি করা যাবে বাড়িতে সহজলভ্য মশলাপাতি দিয়েই।
১. আদা-লেবুর জল
আদা হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এবং লেবু শরীরের টক্সিন দূর করে।
কীভাবে বানাবেন: এক গ্লাস গরম জলে এক টুকরো আদা গ্রেট করে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে নিয়ে তাতে সামান্য লেবুর রস ও চাইলে এক চিমটি বিট নুন মিশিয়ে পান করুন।
২. জোয়ান-মৌরির জল
গ্যাস ও অম্বল কমানোর জন্য জোয়ানের উপযোগিতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। সেই জোয়ান আর মৌরি দিয়ে তৈরি এই পানীয় হজমের ক্ষেত্রে আরও বেশি কার্যকরী।
কীভাবে বানাবেন: এক গ্লাস জলে হাফ চামচ জোয়ান ও হাফ চামচ মৌরি দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। জল অর্ধেক হয়ে এলে ইষদুষ্ণ অবস্থায় পান করুন। এটি পেট ফাঁপা ভাব কমাবে।
৩. ধনে-জিরের চা
জিরে পাচনতন্ত্রের এনজাইমকে সক্রিয় করে, আর ধনে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে বানাবেন: সামান্য জিরে ও ধনে জলে ফুটিয়ে নিয়ে সেই জল পান করুন। এটি বিপাকের হার বৃদ্ধি করে হজমেও সহায়ক।
৪. পুদিনা চা
পুদিনা পাতা পেটের পেশিকে শিথিল করে, যা হজমে সাহায্য করে।
কীভাবে বানাবেন: ফুটন্ত গরম জলে ৪-৫টি তাজা পুদিনা পাতা দিয়ে ঢেকে রাখুন ৫ মিনিট। এরপর ছেঁকে নিয়ে পান করুন।
৫. দারুচিনি-মধুর চা
দারুচিনিতে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যা অন্ত্রের প্রদাহের সমস্যা কমায় এবং গ্যাস থেকে হওয়া পেটের অস্বস্তি কমায় এবং বিপাকের হার বাড়িয়ে খাবার দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে।
কীভাবে বানাবেন: এক গ্লাস জল ফুটিয়ে নিয়ে তাতে এক টুকরো দারুচিনি বা হাফ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো দিন। ২-৩ মিনিট ফুটতে দিন যাতে দারুচিনির নির্যাস জলে মিশে যায়। জল কিছুটা ঠান্ডা হয়ে এলে তাতে এক চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন।