অম্বলে কষ্ট পান? ৫ পানীয় এড়িয়ে না চললেই বিপদ। ছবি: সংগৃহীত।
অম্বল, বুক জ্বালা! অনেকের কাছেই এ নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। কেউ ফিশফ্রাই, বিরিয়ানি খেয়েও দিব্যি ৪-৫টা মিষ্টি খেয়ে ফেলছেন। অথচ আপনার বেলায় ঠিক উল্টো। ভাত, সেদ্ধ শাকসব্জির বাইরে বেরোলেই বিপদ। অম্বলে বুক জ্বলে যায়।
কারও যেমন এ সমস্যা সাময়িক, কেউ আবার বহু দিন ধরেই ভুগছেন এমন সমস্যায়। কারও অম্বলের ধাতই থাকে। তাঁদের জন্য বিষ হতে পারে পাঁচ পানীয়।
দুধ কফি: দুধ দিয়ে কড়া এক কাপ কফিতে চুমুক দিলেই মন ফুরফুরে হয়ে যায়। তবে এই পানীয় ক্ষতিকর হতে পারে হজমের সমস্যা থাকলে। বিশেষত অম্বলের ধাত থাকলে দুধ সহ্য হয় না। তার উপর কফি জুড়লে তা হজম করা কঠিন হতে পারে। বিশেষত খালি পেটে দুধ দেওয়া কফি অম্বল, বুকজ্বালা, পেটে অস্বস্তির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।
ফলের রস: মুসাম্বি লেবু, আঙুর, কমলালেবুর মতো ফলের রস খেলেও অম্বলের সমস্যা হতে পারে। অম্বলের ধাত থাকলে এই ধরনের ফল এড়িয়ে চলা দরকার। জল মিশিয়ে খেলে কিছুটা সমস্যা এড়ানো গেলেও যেতে পারে।
কার্বোনেটেড পানীয়: কার্বনযুক্ত পানীয়ও অম্বলের ধাত থাকলে ক্ষতিকর। যদিও অম্বল গ্যাস হলে অনেকেই মনে করেন সোডা-জল বা এই ধরনের পানীয় স্বস্তিদায়ক হয়। তাৎক্ষণিক স্বস্তি মিললেও, এতে অম্বলের সমস্যা বাড়তে পারে।
টম্যাটো: টম্যাটোর রসও অ্যাসিড জাতীয়। অম্বলের সমস্যা থাকলেও টম্যাটোর মতো ফল বা সব্জি এড়িয়ে চলতে পারেন। এতে থাকা সাইট্রিক এবং ম্যালিক অ্যাসিড পাকস্থলিতে অ্যাসিডের পরিমাণ আরও বা়ড়িয়ে দেয়। খাদ্যনালীর এবং পাকস্থলির মধ্যে একটি পর্দা থাকে। অ্যাসিড জাতীয় খাবার খেলে কারও কারও ক্ষেত্রে সেখান থেকে উল্টো পথে অ্যাসিড উঠে আসে।
অ্যালকোহলযুক্ত পানীয়: মদ্যপানও অম্বলের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষত যথেষ্ট পরিমাণ জল মিশিয়ে যদি অ্যালকোহল না খাওয়া হয়, কিংবা তার সঙ্গে ভাজাভুজি খেলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।