ঠোঁটের কোণে ঘা, ফুস্কুড়ি নিরাময়ের উপায় কী? ছবি: ফ্রিপিক।
শীতের সময়ে ঠোঁট ফাটা, ঠোঁটের কোণায় ঘা বা লালচে ফুস্কুড়ির সমস্যা অনেকেরই হয়। ঠোঁটের কোণে র্যাশ বা ফুস্কুড়ি যদি আকারে বাড়ে ও সেখানে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়, তা হলে বুঝতে হবে সেটি হয় হার্পিস ভাইরাসের কারণে হয়েছে অথবা এর কারণ অ্যাঙ্গুলার চিলাইটিস।
কেন ফুস্কুড়ি হয় ঠোঁটের কোণে?
ঠোঁটের কোণে ফুস্কুড়ি নানা কারণে হতে পারে। যদি দেখেন ফোস্কার মতো হয়েছে এবং তা সারতেই চাইছে না, তা হলে বুঝতে হবে হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসের কারণে হয়েছে। একে বলে ‘কোল্ড সোর’। এতে ঠোঁটে বা মুখের চারপাশে জ্বালা বা ব্যথার অনুভূতি হতে পারে। তবে সপ্তাহ দুয়েক পরে নিজে থেকেই সেরে যায়।
ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে ফুস্কুড়ি হতে পারে। একে বলে অ্যাঙ্গুলার চিলাইটিস। এটি সাধারণত ছত্রাক বা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। আবার ত্বকের ঠিকমতো যত্ন না নিলে, ত্বকে মৃতকোষ জমে অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলেও এমন সমস্যা হতে পারে। ভিটামিনের ঘাটতির কারণেও এমন ফুস্কুড়ি বা র্যাশ হতে দেখা যায়।
প্রতিকারের উপায় কী?
১) প্রথমত ঘন ঘন ঠোঁট চাটা বা ঠোঁট কামড়ানোর অভ্যাস ছাড়তে হবে। ঠোঁটের ত্বক শুকিয়ে গেলে চামড়া টেনে তোলার অভ্যাসও ছাড়ুন। এতে ঠোঁটের ত্বক আরও বেশি রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে ওঠে।
২) এক চামচ চিনি এবং এক চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি আঙুলের ডগায় নিয়ে ঠোঁটে আলতো করে বৃত্তাকার গতিতে ১-২ মিনিট ধরে ঘষুন।এরপর হালকা গরম জল দিয়ে ঠোঁট ধুয়ে ফেলুন। এতে ঠোঁট নরম হবে। মধুর অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ আছে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে।
৩) বাজারচলতি লিপ বামে অনেক রাসায়নিক থাকে। বাড়িতেই বানিয়ে নিন ভেষজ লিপ বাম। একটি পাত্রের মধ্যে নারকেল তেল ও পেট্রোলিয়াম জেলি এক সঙ্গে নিয়ে গরম করতে হবে। গরম হয়ে গেলে, দু’টি উপাদানই মিশে গিয়ে একই রকম ঘনত্বের হয়ে যাবে। এ বার এই মিশ্রণকে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছোট কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। এটি প্রতি দিন ঠোঁটে লাগালে ঠোঁট নরম থাকবে।
৪) পর্যাপ্ত জল ও তরল খাবার খেতে হবে যাতে শরীর আর্দ্র থাকে।
৫) লিপ মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটির কাজ হল ঠোঁটকে আর্দ্র রাখা ও নরম-মসৃণ ভাব বজায় রাখা। ঘরোয়া পদ্ধতিতেও এটি বানানো যায়। মধু, নারকেল তেল, শিয়া বাটার দিয়ে মিশ্রণ বানিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন। তার পর ধুয়ে লিপ বাম লাগিয়ে নিন।