শসায় নাকি তরমুজের স্বাদ ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
গ্রীষ্মের ফল তরমুজের জন্য বছরের বাকি সময় হাহাকার করেন? গরমে তরমুজের উপকারিতার কথা ছেড়েই দিন, এমন মিষ্টি ও আরামদায়ক স্বাদ আর ক’টা ফলেই বা মেলে! আপাতত মিঠে লাল-সবুজ ফলের জন্য অপেক্ষা করতে হবে মাস কয়েক। তবে তার আগেই এই মরসুমে তরমুজ ‘বানানো’র ধুম লেগেছে সমাজমাধ্যমে। তা-ও আবার শসা দিয়ে! শুনে বিশ্বাস না-ই করতে পারেন। কিন্তু সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী অনিতা হসনন্দানী এই টোটকা প্রয়োগ করে সফল হয়েছেন বলে জানালেন। বিস্মিত অভিনেত্রী এক পডকাস্টে এসে দাবি করলেন, সত্যিই শসার স্বাদ একেবারে তরমুজের মতো!
এই টোটকার জন্য শসা ছাড়াও প্রয়োজন, এক চিমটে চিনি। চিনির সঙ্গে শসা খেলে নাকি তরমুজ খাচ্ছেন মনে হবে। কিন্তু কী ভাবে এই মেলবন্ধন এমন ভাবে কার্যকর হল? এর নেপথ্যে রহস্যটাই বা কী? তা ছাড়া এই টোটকার প্রয়োগে শরীরে কী প্রভাব পড়ে?
চিনিই হল গোপন উপকরণ। ছবি: সংগৃহীত।
শসা এবং তরমুজ আসলে একই পরিবারভুক্ত ফল। এখানে অবশ্য অনেকেই তর্ক করবেন, শসা ফল না কি সব্জি। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে শসা একটি ফলই বটে। তবে, রন্ধনসম্পর্কীয় দিক থেকে সব্জি হিসেবে ব্যবহার করা যায় শসাকে। তরমুজ এবং শসা কিউকারবিটাসি পরিবারের উদ্ভিদ থেকে জাত। তাই দু’টির মধ্যেই একই প্রকারের অ্যালডিহাইড ও অ্যালকোহল রয়েছে। তাই স্বাদে মিল রয়েছে। আর তাতে যদি চিনি মেশানো হয়, শসার হালকা কষা ভাব কমে যায়। ফলে আমাদের মস্তিষ্ক সেই স্বাদকে তরমুজের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়।
শরীরের জন্য ভাল না কি খারাপ?
শসায় জলের পরিমাণ প্রায় ৯৫ শতাংশ। অত্যন্ত কম ক্যালোরি থাকে এতে। উপরন্তু তা ভিটামিন সি, বিটা-ক্যারোটিন, ফ্ল্যাভোনয়েডসের মতো অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। অন্য দিকে, চিনিতে প্রচুর এনার্জি থাকে বটে, কিন্তু পুষ্টিগুণ খুবই কম। ভিটামিন, ফাইবার, খনিজের অস্তিত্ব ছা়ড়াই ভর্তি ক্যালোরি চিনিতে। ফলে এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে অবশ্যই শসার পুষ্টিগুণ খানিক কমে আসে। চিনি যতই কম হোক, তার গ্লাইকেমিক ইনডেক্স শসার তুলনায় অনেক বেশি। শসার ইনডেক্স যেখানে মাত্র ১৫, চিনির প্রায় ৬৫। তাই মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রেখে শসা খাওয়া হলে তা জলের অভাব মেটানোর পাশাপাশি ত্বক ও শরীর, দুইয়েরই উপকার করে।