ছবি : সংগৃহীত।
বাঙালি রান্নাঘরে তিল খুব অপরিচিত খাবার নয়। তবে দৈনন্দিন বাঙালি রান্নায় তার ব্যবহার কমই হয়। তিল এ রাজ্যে খাওয়া হয় হয় তিলের চাকতি অথবা মিষ্টিজাতীয় খাবারে। কোনও কোনও খাবারে তরকারির ঝোলে থকথকে ভাব আনতেও তিল বেটে দেওয়া হয়। আবার কখনও সখনও পোস্তর বড়া বা পোস্তের তরকারিতে ব্যবহার করা হয় তিল। তবে তিল এমন ভাবে মাঝে সাঝে না খেয়ে যদি সামান্য পরিমাণে নিয়মিত খাওয়া যায়, তবে তার অনেক উপকার রয়েছে।
নিয়মিত তিল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তারকা পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্দো। তিনি বলছেন, সাদা তিল নিয়মিত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কেন তা খাবেন, তার কিছু কারণও বলে দিয়েছেন পুষ্টিবিদ।
হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করে
সাদা তিলে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস। সবক’টি খনিজই হাড়ের গঠন বজায় রাখতে এবং হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত তিল খেলে হাড়ের ক্ষয়ের রোগ বা অস্টিয়োপোরোসিস কমতে পারে।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
তিলে রয়েছে লিগনান এবং ফাইটোস্টেরল নামের কিছু উপকারী উপাদান। যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এটি ‘খারাপ কোলেস্টেরল’ বা এলডিএল কমিয়ে ‘ভালো কোলেস্টেরল’ অর্থাৎ এইচডিএলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে অত্যন্ত কার্যকর।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
সাদা তিলে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, তিলের বীজ নিয়মিত খেলে টাইপ ২ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
তিলের বীজে প্রচুর ফাইবার থাকে। এই ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে মসৃণ রাখতে সাহায্য করে এবং তা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
তিলের মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন ই ত্বককে সতেজ ও উজ্জ্বল রাখে। এতে থাকা নানা ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড, চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করে।
প্রদাহনাশক তাই ব্যথা উপশমকারী
সাদা তিলে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং প্রদাহনাশক উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ক্যানসার থেকে শুরু করে শরীরে হওয়া নানা ধরনের ব্যথা, যেমন স্নায়ুর ব্যথা, আর্থ্রাইটিসের জন্য দায়ী প্রদাহ। তিল সেই প্রদাহ কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে
তিলের ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি রক্তনালীকে শিথিল করে রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে, যা হাই ব্লাড প্রেশারের রোগীদের জন্য উপকারী।