— প্রতীকী চিত্র। ছবি: সংগৃহীত।
৪০ বছরের পর শরীরের পরিপাকতন্ত্র একটি সার্বিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হয়। খাবার হজম থেকে শুরু করে পুষ্টিগুণ শোষণের ক্ষেত্রেও তারতম্য ঘটে। তাই ৪০ বছরের বেশি বয়সে অনেকেই পেটের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। কারও ক্ষেত্রে আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সময় থাকতে সতর্ক হলে সমস্যাগুলি থেকে দ্রুত মুক্তি পেয়ে সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব।
৪০ বছরের পর পেটের স্বাস্থ্য
১) বয়সের সঙ্গে পৌষ্টিকতন্ত্রের মধ্যে দিয়ে খাবারের চলনের গতি কমে যায়। একই সঙ্গে খাদ্যনালী থেকে বিভিন্ন উৎসেচকের ক্ষরণও কমে আসে। ফলে খাবার হজম হতে সময় বেশি লাগে। তার ফলে পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা তৈরি হতে পারে।
২) খাবার হজম করতে এবং জীবাণুনাশে পাকস্থলীর অ্যাসিডের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ৪০ বছরের পর এই অ্যাসিডের পরিমাণ কমতে থাকে। তার ফলে দেহে ভিটামিনের অভাব তৈরি হতে পারে। একই সঙ্গে পেটের সমস্যা বৃদ্ধি পায়।
৩) পেটের উপকারী জীবাণুর সংখ্যা বয়সের সঙ্গে কমতে শুরু করে। তার ফলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা, হজমশক্তিও দুর্বল হতে থাকে। ঘন ঘন অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং ক্লান্তি থেকেও পরিপাকতন্ত্র উপকারী জীবাণুর পরিমাণ কমতে থাকে।
৪) ৪০ বছরের পর গ্যাস, অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের মতো সমস্যা বাড়তে পারে। তাই নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
৫) বয়সের সঙ্গে মানুষের দীর্ঘকালীন ওষুধ নির্ভরতা বাড়তে থাকে। এমন কতকগুলি ওষুধ রয়েছে, যারা পেটের উপকারী জীবাণুদের ভারসাম্য নষ্ট করে। তার ফলেও পেটখারাপ বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হতে পারে।