রোজের যাপনে কোন নিয়মটি মানলে নির্মেদ ও ফিট থাকা যাবে? গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
শরীরে এতটুকু মেদ জমে না। সর্ব ক্ষণই চনমনে মেজাজ। অক্ষয় কুমারের ফিটনেস নিয়ে আলাদা করে বলার কিছু নেই। আর বিরাট কোহলি ও অনুষ্কা শর্মার স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে তো রীতিমতো চর্চা হয়। ফিট থাকতে হলে যে জীবনে অনুশাসন মেনে চলা জরুরি, তা মনে করেন তিন জনই। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তাঁরা জানিয়েছেন, কী ভাবে দৈনন্দিন যাপনে সেই নিয়ম মেনে চলার অভ্যাস করেছেন। ডায়েট, শরীরচর্চা তো আছেই, সেই সঙ্গে রোজের যাপনে এমন এক নিয়ম মেনে চলেন অক্ষয়, বিরাট ও অনুষ্কা, যা তাঁদের এত ফিট থাকতে সাহায্য করে। চেহারায় বয়সের ছাপও পড়তে দেয় না। কী সেই অভ্যাস?
রাতের খাওয়া বিকেল বা সন্ধ্যার মধ্যেই সেরে ফেলেন তিন জনেই। অক্ষয় জানিয়েছেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে তিনি রাতের খাওয়ার পাট চুকিয়ে দেন। সপ্তাহে এক দিন উপোসও রাখেন। এতেই তাঁর হজমের প্রক্রিয়া ঠিকঠাক হয়, শরীরে মেদও জমে না। তাড়াতাড়ি ঘুম ও ভোরে ওঠার অভ্যাসও তাঁর ফিটনেসের মূলমন্ত্র। একই ভাবে তাড়াতাড়ি রাতের খাওয়া সারেন বিরাট এবং অনুষ্কাও। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে অনুষ্কা জানিয়েছিলেন, মেয়েকে নিয়েই বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টার মধ্যে নৈশভোজ সেরে ফেলেন তিনি। এতেই তাঁর শরীর ঝরঝরে থাকে। অসুখবিসুখ তেমন ভাবে ছুঁতেও পারে না।
আসলে বেশির ভাগ শারীরিক সমস্যার উৎপত্তিই হয় পেট থেকে। হজম প্রক্রিয়ায় গোলমাল মানেই তা নানা ভাবে শরীরের ভোগান্তি বাড়ায়। গ্যাস-অম্বল, অতিরিক্ত মেদ জমা, খারাপ কোলেস্টেরল থেকে লিভারের রোগ— এই সব কিছুরই কারণ বিপাক ক্রিয়ায় গন্ডগোল। সেই সমস্যারই সুরাহা হতে পারে তাড়াতাড়ি রাতের খাওয়া সারলে।
ডায়াবিটিস, হৃদ্রোগ, কোলেস্টেরলের মতো শারীরিক অসুস্থতার অন্যতম উৎস হল দেরি করে রাতের খাবার খাওয়া। কিন্ত আধু্নিক জীবনযাত্রায় এটাই যেন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। কাজের চাপে অনেক সময় খাবার খাওয়ার কথাই মনে থাকে না। ব্যস্ততম জীবনে সেখানে তাড়াতাড়ি নৈশভোজ সেরে নেওয়ার অভ্যাস বিরল বলা চলে। তা ছাড়া মাঝে মাঝেই রেস্তরাঁয় গিয়ে ভূরিভোজের পরিকল্পনা থাকে। বিভিন্ন কারণে অনেকেই প্রায় মধ্যরাত পার করে খাবার খান। অথচ সাম্প্রতিক নানা গবেষণায় প্রমাণিত, রাতে ঘুমোনোর অন্তত ঘণ্টা তিনেক আগে যদি খাওয়া সেরে নেওয়া যায়, তা হলে হজমের গোলমাল হওয়ার কোনও ঝুঁকি থাকে না। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়। ক্রনিক কিছু শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা কমে তাড়াতাড়ি নৈশভোজের অভ্যাসে। তা ছাড়া, রাতের খাবার হতে হবে সবচেয়ে হালকা। বেশি ভারী খাবার রাতে এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। সূর্যাস্তের আগে শরীরে হজমশক্তি ভাল থাকে। সে কারণেই ভারী খাবার খেয়ে নিতে বলা হয় সন্ধে নামার আগেই। সবচেয়ে বড় কথা হল, এই অভ্যাস মেনে চলতে পারলে স্থূলত্ব কমবে খুব তাড়াতাড়ি এবং মানসিক স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।