অংশুলার খাদ্যতালিকা প্রকাশ্যে। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ পথের পথিক অংশুলা কপূর। নিজের দেহের আকার ও গঠনের জন্য ছোট থেকে কটাক্ষের মুখে পড়েছেন বার বার। শারীরিক নানাবিধ জটিলতার কারণে ওজন কমানো আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু যাপনে পরিবর্তন এনে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তিনি সম্পূর্ণ বদলে ফেলেছেন নিজেকে। রোগা হয়ে যাওয়ার পরেও খাওয়াদাওয়ায় বদল আনেননি। স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে, শরীরচর্চা করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন।
প্রাতরাশ
দিনের শুরুতেই দু’টি ডিমের সাদা অংশ দিয়ে বানানো অমলেট-দোসা খেয়েছেন অংশুলা। দোকান থেকে আনা প্রোটিনসমৃদ্ধ দোসার মিশ্রণে দু’টি ডিম ফেটিয়ে ফ্রিজে থাকা নানাবিধ সব্জি যোগ করে বানানো। পেটও ভরে, পুষ্টিকরও বটে। সঙ্গে অবশ্যই কালো কফি চাই-ই চাই।
মধ্যাহ্নভোজন
দুপুরে পাতে ছিল দু’টি রুটি, যা জোয়ার আর ছাতু মিশিয়ে বানানো হয়েছে। সঙ্গে এক বাটি ঝিঙের তরকারি ও মুরগির ঝোল। অংশুলার পুষ্টিবিদ তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন, কেবল জোয়ার দিয়ে রুটি বানানোর বদলে ছাতুও মিশিয়ে নেওয়া ভাল।
বিকেলে
দু’টি ডিম দিয়ে বানানো ভুর্জি খেয়ে পেট ভরিয়েছেন অংশুলা। রাস্তায় বেরিয়ে গাড়িতে বসে খাওয়ার জন্য যদিও উপযুক্ত ছিল। ছবিতে দেখা যায়, চামচ দিয়ে সেই খাবার খাচ্ছেন তিনি।
সন্ধ্যার জলখাবার
সারারাত ভিজিয়ে রাখা চিয়া দিয়ে বানানো দইয়ের পুডিং, সঙ্গে ব্লুবেরি আর কিছু বাদাম। ফাইবারে ভরা স্ন্যাক্স ছিল সন্ধ্যাবেলা।
রাতের খাবার
রাতের দিকে থাই কারি খাওয়ার ইচ্ছে জেগেছিল অংশুলার। কিন্তু দোকান থেকে না কিনে ঘরেই বানিয়ে দিয়েছেন তাঁর রাঁধুনি। নানাবিধ সব্জি ও মুরগির মাংস দেওয়া সবুজ থাই কারি খেলেন অংশুলা। নারকেল দুধে অল্প জল মিশিয়ে হালকা করে নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু স্বাদে কোনও খামতি ছিল না। শিরাতাকি রাইসের সঙ্গে বেশ উপাদেয় হয়েছিল বলে জানান তিনি।