Blood Clot Symptoms

হঠাৎ করে কাশি, ঠান্ডা হচ্ছে হাত-পা, কাঁধে অসহ্য যন্ত্রণা, লক্ষণ মোটেই সুবিধার নয়, কী রোগ হচ্ছে?

হঠাৎ করেই শুকনো কাশি হচ্ছে, হাত-পায়ে জ্বালা বা চুলকানি হচ্ছে, তা হলে একে অ্যালার্জির সমস্যা ভেবে নেওয়া খুব স্বাভাবিক। কিন্তু রোগ আরও গুরুতর হতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৫ ১৮:২৮
Share:

রক্ত জমাট বাঁধার রোগের লক্ষণ সাধারণ, চিনে নিন। ছবি: এআই।

রাতে শুলেই হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায় অনেকের। সেই সঙ্গে পায়ে টান ধরা, হাতে ব্যথা এমনকি কাঁধেও ব্যথা ভোগায়। এই সব লক্ষণ দেখা দিলে, তা সাধারণ বলেই ভেবে নেওয়া হয়। আবার ধরা যাক, ঠান্ডা লাগেনি, কিন্তু হঠাৎ করেই শুকনো কাশি, হাত-পায়ে জ্বালা বা চুলকানি হচ্ছে, তা হলে একে অ্যালার্জির সমস্যা ভেবে নেওয়া খুব স্বাভাবিক। এমন কিছু রোগ আছে, যাদের লক্ষণ খুবই সাধারণ, কিন্তু এড়িয়ে চলেন বেশির ভাগ মানুষই। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় পরবর্তী সময়ে গিয়ে। যখন দিনের পর দিন রোগ তলে তলে ছড়িয়ে পড়তে থাকে সারা শরীরে।

Advertisement

শরীরের ভিতরে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে যে কোনও সময়েই। অনেকেই ভাবেন, চোট বা আঘাত লাগলেই বুঝি তা হয়। আরও নানা কারণে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে, যার লক্ষণগুলিকে সাধারণ ভেবেই এড়িয়ে যাওয়া হয়। এই সমস্যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলে ‘ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস’, যা কিছু ক্ষেত্রে প্রাণঘাতীও হতে পারে।

কখন সাবধান হবেন?

Advertisement

রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ প্রথম দেখা দিতে পারে পায়ে। পায়ের শিরায় রক্ত জমাট বেঁধে কালো ছোপ তৈরি হওয়া, হাঁটতে গেলে যন্ত্রণা, শিরায় টান ধরার মতো লক্ষণ প্রথম খেয়াল করতে হবে। রাতে ঘুমের মধ্যে পায়ের শিরায় টান ধরাও এর অন্যতম উপসর্গ।

আরও কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন— রাতে শুলে হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসা, মাঝেমধ্যেই শ্বাসকষ্ট, হাতে ও কাঁধে যন্ত্রণা। শরীরে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হওয়ার কারণেই এই সমস্যাগুলি দেখা দিতে থাকে। পাশাপাশি, সারা গায়ে চুলকানি হতে পারে। বিশেষ করে একটি পায়ে জ্বালা বা চুলকানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। কোনও রকম র‌্যাশ ছাড়াই চুলকানি হবে।

ডিপ ভেন থ্রম্বোসিসের সমস্যা বাড়লে বুকে ও চোয়ালে ব্যথা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে দৃষ্টিও ঝাপসা হয়ে যায়। শরীরের অস্থিসন্ধিগুলি ফুলে ওঠে, হাঁটুতে যন্ত্রণা শুরু হয়।

কাদের ঝুঁকি বেশি?

ডায়াবিটিসের রোগীদের রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেশি। যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তা ছাড়া একটানা পা ঝুলিয়ে অনেক ক্ষণ বসে থাকলে, খেলতে গিয়ে চোট-আঘাত পেলে, একটানা দীর্ঘ ক্ষণ গাড়ি চালালেও এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ডিপ ভেন থ্রম্বোসিস কখনও কখনও খুব দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। অনেক সময়ে রোগীকে বাঁচানোর সময়টুকুও পাওয়া যায় না। এর থেকে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। তাই প্রাথমিক লক্ষণগুলি দেখা দিলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। অনেকেই পুরনো ব্যথা বা চোট-আঘাত দীর্ঘ দিন ফেলে রাখেন। এমনও করা ঠিক নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement