Fatima Sana Shaikh

মৃগীতে আক্রান্ত ‘দঙ্গল’ খ্যাত অভিনেত্রী ফতিমা, কতটা মারাত্মক হতে পারে এই রোগ?

‘দঙ্গল’ ছবিতে আমির খানের সঙ্গে কাজ করেছেন অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখ। মৃগী রোগে আক্রান্ত তিনি। কী এই রোগ?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২২ ১৭:৪৩
Share:

এ বার বলিউড অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখ নিজের অসুস্থতার কথা জানালেন। ছবি: সংগৃহীত

কিছু দিন আগেই ‘ভেড়িয়া’ ছবির প্রচারে এসে বরুণ ধওয়ান জানিয়েছিলেন, তিনি ‘ভেস্টিবুলার হাইপোফাংশন’ রোগে আক্রান্ত। শারীরিক এই সমস্যার কারণে দেহের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। এ বার বলিউড অভিনেত্রী ফতিমা সানা শেখ নিজের অসুস্থতার কথা জানালেন। এপিলেপ্সি বা মৃগী রোগে আক্রান্ত অভিনেত্রী। মূলত স্নায়ুরজনিত জটিলতার কারণেই এই রোগ হয়। ফতিমা এখন চিকিৎসাধীন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি নিজেকে সুস্থ রাখতে শরীরচর্চাতেও মন দিয়েছেন।

Advertisement

কী এই রোগ?

এপিলেপ্সি আদতে একটি ‘নিউরোলজিক্যাল ডিজ়িজ়’। মস্তিষ্কে স্নায়ুজনিত সমস্যার কারণেই এই রোগ দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জিনগত কারণে এই সমস্যা দেখা যায়। সদ্যোজাত থেকে শুরু করে বয়স্ক, যে কারও এই রোগ হতে পারে। মানুষের মস্তিষ্কে অসংখ্য সূক্ষ্ম স্নায়ুর ‘সার্কিট’ থাকে, যা শরীরের প্রতিটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণ করে। সেই স্নায়ুর সার্কিটে অতিরিক্ত ‘স্পার্কিং’-এর কারণে মৃগী রোগ দেখা দেয়। এপিলেপ্সির বিভিন্ন ভাগ রয়েছে। এক এক ধরনের এপিলেপ্সি বয়সভেদে বদলে যায়।

Advertisement

এই রোগ মোটামুটি দু’ধরনের হতে পারে। প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি। প্রাইমারি এপিলেপ্সিতে মস্তিষ্কের কোনও অভ্যন্তরীণ ক্ষতি হয় না। অন্য দিকে, মাথায় চোট পাওয়ার কারণে, মাথায় টিউমর থাকলে বা হঠাৎ শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে হতে পারে ‘সেকেন্ডারি এপিলেপ্সি’।

চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলার পাশাপাশি নিজেকে সুস্থ রাখতে শরীরচর্চাতেও মন দিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত

এই রোগের উপসর্গ কী?

প্রাথমিক উপসর্গ হিসাবে বলা যায়, রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। খিঁচুনি হতে পারে। রোগীর খিঁচুনির সমস্যা শুরু হলে, সেই সময়ে তাঁকে স্পর্শ না করার পরামর্শ দিয়ে থাকে চিকিৎসকরা। খেয়াল রাখা জরুরি যাতে, সেই সময়ে রোগী কোনও চোট না পান। এ ছাড়া, স্নায়ুসংক্রান্ত আরও অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

সতর্কতা

এপিলেপ্সিতে যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। অতিরিক্ত মদ্যপান, বেশি রাত জাগা, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম একেবারেই চলবে না। এগুলি এপিলেপ্সির মাত্রাকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে। সতর্ক না থাকলে রোগী যে কোনও সময় এপিলেপ্সির শিকার হতে পারেন। তবে সব ক্ষেত্রেই যে তিনি মাটিতে পড়ে গিয়ে ছটফট করবেন— এমন নয়। এপিলেপ্সি সাময়িক অন্যমনস্কতাও ডেকে আনতে পারে।

তবে অনেকেরই চলতি ধারণা রয়েছে এই রোগ নিয়ে। অনেকে মনে করেন, আক্রান্ত রোগীকে জুতোর গন্ধ শুঁকিয়ে হয়তো জ্ঞান ফেরানো সম্ভব। অনুরাগীর প্রশ্নে ফাতিমা বলেন, ‘‘এটা একেবারেই মিথ। তবে আমার উপর এক বার পরিবারের লোকেরা এই টোটকা প্রয়োগ করেছিলেন। বিশ্বাস করুন, কখনও কারও সঙ্গে এমন করবেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন