রণবীর কপূরের সুঠাম দেহের নেপথ্যে রয়েছেন তাঁর ফিটনেস প্রশিক্ষক শিবহম ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়তি ওজন কমাতে অনেকেই নিয়মিত জিমে যান। কিন্তু দিনের পর দিন গিয়েও অনেকে সুফল পান না। নেপথ্যে রয়েছে একাধিক ভুল। জিমে গিয়েও কেন ওজন না-ও কমতে পারে তা জানিয়েছেন অভিনেতা রণবীর কপূরের ফিটনেস প্রশিক্ষক শিবহম ভট্ট।
‘অ্যানিম্যাল’ ছবির জন্য রণবীরকে সুঠাম দেহ তৈরিরে সাহায্য করেছিলেন শিবহম। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আপনি যখন জিমে যান, তখন এমন অনেক মানুষকে দেখবেন, যাঁরা পাঁচ-ছয় বছর ধরে একই রকম আছেন। তাঁরা পরিবর্তন চান, কিন্তু কী ভাবে করবেন তা জানেন না।’’ জিমে এজন কমানোর জন্য শিবহমের ৫ টিপস্—
১) জিমে অনেকেই প্রতিদিন একই ওজন নিয়ে শরীরচর্চা করেন। কারণ তাঁরা সে ভাবেই অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন। কিন্তু দেহের পরিবর্তন আনার জন্য সময়ের সঙ্গে অল্প অল্প করে ওজন বৃদ্ধি করা উচিত।
২) শরীরচর্চার ক্ষেত্রে প্রতিদিন একই রেপ (পুরনাবৃত্তি) করতে থাকলে কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। শিবহমের মতে, প্রথম সপ্তাহে কেউ যদি ডাম্বেল নিয়ে ১০ বার বাইসেপের ব্যায়াম করেন, তা হলে পরবর্তী সপ্তাহে সেটি ১২ বার করা উচিত।
৩) পেশিকে যত বেশি টেনশনে রাখা যাবে, ততই তার মধ্যে বৃদ্ধি বা ঘনত্ব বাড়বে। তাই দ্রুত শরীরচর্চা না করে, ধীরে ধীরে প্রতিটি সেট পারফর্ম করা উচিত। তার ফলে পেশির নিয়োগ এবং ব্যায়ামের সময় বৃদ্ধি পাবে।
৪) ওজন তোলার ক্ষেত্রে গতির তারতম্য পেশির উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই গতি কমানো বা বৃদ্ধি করা আবার কখনও ওজন নিয়ে একই অবস্থানে থাকা— ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারলে সুবিধা হবে।
৫) জিমে প্রতিটি সেটের মাঝে বিশ্রামের প্রয়োজন। আবার সপ্তাহের ৬ দিন শরীরচর্চা করলে একদিন বিশ্রামের প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে শরীরকে সময় মতো বিশ্রাম না দিলে ওজনও কমবে না। বিপরীতে চোট আঘাতের আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি পারে।