বিকাশের দিনলিপি। ছবি: সংগৃহীত।
৫৩ বছর বয়সেও কী করে এত ফিট রন্ধনশিল্পী বিকাশ খন্না? মূলমন্ত্র নাকি একটিই— অনুশাসন। নিয়মে বাঁধা জীবন। সর্ব ক্ষণের হিসেবনিকেশ। নিউইয়র্কবাসী বিকাশের স্বীকারোক্তি, মানুষের পক্ষে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়, কিন্তু আমি যা করি, তা হিসেব করেই করি। একসঙ্গে একাধিক নয়, কেবল একটি কাজই করি। তার ফলেই নিয়মে থাকা সম্ভব হয়। নিয়মকানুন আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা সে ব্যায়ামের নিয়ম হোক, শুধু পুশআপ করারই নিয়ম হোক, অথবা খাওয়াদাওয়ার। এখনও আমি গোটা শহরে বাইসাইকেল চেপে ঘুরে বেড়াই। কত দিন যে সাবওয়ে চাপি না, ভুলেই গিয়েছি। সবই ওই শৃঙ্খলার মধ্যেই পড়ে।’’
বিকাশের কথায় স্পষ্ট, সকাল থেকে রাত, তাঁর দিনলিপি একেবারেই ঘড়ি ধরা। এ দিক থেকে ও দিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। দিন শুরু হয় ভোরে। শরীরচর্চা করে সময় মেপে। আর খাওযাদাওয়া? সকালের খাবার সাদামাঠা এবং পুষ্টিকর। তিনি প্রাতঃরাশে রাখেন গ্র্যানোলা, দু’টি সেদ্ধ ডিম। বাটিভর্তি বাদাম রাখা থাকে তাঁর বাড়িতে। তবে বিকাশ কফিপ্রেমী, বা বলা ভাল, কফির প্রতি আসক্ত। রন্ধনশিল্পীর কথায়, ‘‘আমার ফ্রিজে সব কিছু গুনে গুনে মেপে মেপে রাখা। আমায় ভোর ৫টাতেও যদি কেউ ডাকে, আমি কিন্তু ঠিক বা়ড়ি থেকে জলখাবার খেয়েই বেরোব। সকালে খাবার না খেয়ে কোথাও যাই না আমি।’’ বিকাশের মতে, মাঝেসাঝে রেস্তরাঁয় খাওয়াই যায়, কিন্তু বাড়িতে নিজে রান্না করে খাওয়াদাওয়া করাটা মন ও শরীর, দুয়ের জন্যই উপকারী।
নিয়মিত ব্যায়াম এবং পুষ্টিকর জলখাবার একসঙ্গে হজমক্ষমতা উন্নত করে, ক্লান্তি কমায় এবং মানসিক চাপ কমানোয় সাহায্য করে। বিকাশের যাপনের সঙ্গে নিয়ম ও শৃঙ্খলা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। শরীর ও মন দুই-ই সুস্থ রাখার জন্য এমন জীবনকেই বেছে নিয়েছেন তিনি।