How to create perfect AI diet plan

পুষ্টিবিদ নয়, এআই-এর সাহায্যে দু’মাসে ১০ কেজি ওজন কমালেন তরুণী! ডায়েটে ছিল আইসক্রিমও

ওজন কমানোর জন্য চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। আর চমকপ্রদ বিষয় হল, ওই এআই অ্যাপের তৈরি করে দেওয়া ডায়েট মেনে তিনি দু’মাসে ১০ কেজি ওজন কমাতে পেরেছেন!

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৫ ১৮:৪৬
Share:

‘এআই পুষ্টিবিদ’-এর পরামর্শে কমল ১০ কেজি ! ছবি: এআই।

কৃত্রিম মেধা বা এআই জীবনযাপনের অঙ্গ হয়ে উঠছে ক্রমশই। বেড়াতে যাওয়ার জায়গার কথা জানতে মানুষ এআইয়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন। গবেষণার প্রয়োজনে এআইয়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন। স্কুলের হোমওয়ার্ক থেকে শুরু করে একাকিত্ব মেটানোর সঙ্গী হিসাবেও এআই-কে বেছে নিচ্ছেন কেউ কেউ। তবে সম্প্রতি এক তরুণী জানিয়েছেন, এআই তাঁকে ওজন কমাতেও সাহায্য করছে।

Advertisement

নিজের ওজন কমানোর সফর নিয়ে ওই তরুণী সরাসরিই কথা বলেছেন ইনস্টাগ্রামে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ওজন কমানোর জন্য চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। আর চমকপ্রদ বিষয় হল, ওই এআই অ্যাপের তৈরি করে দেওয়া ডায়েট মেনে তিনি দু’মাসে ১০ কেজি ওজন কমাতে পেরেছেন!

শুধু তা-ই নয়, ‘এআই পুষ্টিবিদ’ তাঁকে তাঁর প্রিয় আইসক্রিম খাওয়ারও সুযোগ করে দিয়েছে।

Advertisement

সিমরন ভালেশা একজন ইনস্টাগ্রাম প্রভাবী। এআই-এর সাহায্যে ওজন কমানোর প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এআই অ্যাপের সাহায্যে ওজন কমাতে পারেন যে কেউ। তবে তার জন্য কয়েকটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। সেগুলি কী কী?

১। প্রথমেই নিজের সঠিক উচ্চতা এবং ওজন জানাতে হবে। জানাতে হবে বয়সও।

২। এর পরে জানাতে হবে কত দিনে কত কেজি ওজন ঝরাতে চাইছেন আপনি।

৩। যে প্রশ্নটি করবেন তাতে লিখতে হবে আপনার সারা দিনের রুটিনও। যেমন সারা দিনে আপনি কতটা কাজ করেন, কত খানি হাঁটাচলা থাকে, কত ক্ষণ বসে থাকতে হয়, দিনে কত বার খাবার খাওয়ার সুযোগ পান, শরীরচর্চা করেন কি না ইত্যাদি।

৪। ওজন কমানোর জন্য আপনি কত বার খাবার খান বা খেতে পারবেন, তা-ও জানাতে হবে। যেমন— ‘‘আমি দু’বার ভারী খাবার আর তিন বার হালকা খাবার খাওয়ার সুযোগ পাই।’’ সিমরনও এমনই লিখেছেন বলে জানিয়েছেন।

৫। এআইয়ের থেকে খাদ্যতালিকা জানতে চাইলে, আপনি কী ধরনের খাবার পছন্দ করেন তা-ও জানাতে হবে। যাতে আপনার এলাকায় লভ্য সব্জি বা খাবার দিয়েই এআই খাদ্যতালিকা তৈরি করতে পারে।

৬। এর পাশাপাশি ডায়েট মেনে চলার জন্য কী কী করা দরকার সেটাও জেনে নিয়েছিলেন সিমরন। যেমন তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘‘হঠাৎ কোনও বিকেলে ব্রাউনি দিয়ে আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করলে কী করব?’’

৭। ডায়েট চলাকালীন রেস্তরাঁয় খেতে গেলে কোন খাবার খেতে পারবেন, কোন কোন খাবার একেবারেই খাওয়া যাবে না, তা-ও জেনে নিয়েছিলেন সিমরন।

৮। মানসিক চাপের মুখে পড়লে অনেক সময় বেশি খাওয়া হয়ে যায়। তেমন পরিস্থিতি তৈরি হলে কী করবেন? সেই প্রশ্নের উত্তরও সিমরন জানতে চেয়েছিলেন চ্যাটজিপিটির কাছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement