ভাইরাসঘটিত রোগ থেকে সাবধান । ছবি: ফ্রিপিক।
কেরলে ফের চিকেন পক্সের প্রকোপ শুরু হয়েছে। সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, কেরলের কোল্লাম জেলায় শতাধিক মানুষ জলবসন্তে আক্রান্ত। মরসুম বদলের সময়ে নানা রকম ভাইরাসের দাপট বাড়ে। এই সময়ে তাই সাবধানে থাকা জরুরি। তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে এখন এই সব রোগ হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট সময় নেই। জলবায়ু যে ভাবে বদলাচ্ছে, তাতে সংক্রামক রোগগুলি ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। করোনা, ডেঙ্গি তো ছিলই। চিকেন পক্সের প্রকোপও বেড়েছে। ছোটদের ও অন্তঃসত্ত্বাদের বিশেষ করে সাবধানে থাকতে হবে।
‘ভ্যারিসেল্লা জুস্টার’ নামক ভাইরাসের সংক্রমণে ঘটা এই অসুখ ছোঁয়াচে। তাই এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে বেশ কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। রোগীকে সবচেয়ে আগে নিভৃতবাসে রাখতে হবে। বায়ুবাহিত অসুখ হওয়ায় এই রোগকে আটকানোর তেমন কোনও উপায় থাকে না ঠিকই, তবে আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে। পরিবারে শিশু ও বয়স্ক মানুষ থাকলে, রোগীকে তাঁদের কাছে যেতে দেওয়া চলবে না।
লক্ষণ চিনে সতর্ক হতে হবে
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে প্রথমে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই জ্বর হয়। কিন্তু সেই জ্বর সাধারণ, নাকি তা জলবসন্তের, গুটি না বেরোনো পর্যন্ত বোঝা মুশকিল। ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করার অন্তত ১০ থেকে ২০ দিন পর ধীরে ধীরে জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, খাবারে অনীহা দেখা দিতে পারে। তারও বেশ কিছু দিন পর থেকে সারা শরীরে র্যাশ বেরোতে শুরু করে। জ্বরের সঙ্গে কারও কারও ক্ষেত্রে গলাব্যথা, নিউমোনিয়া, এনসেফালাইটিসের মতো সমস্যাও দেখা যায়। বাড়িতে কারও পক্স হলে বা আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে তাঁর হাঁচি, কাশি, লালারস কিংবা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে যে কোনও বয়সের মানুষই এতে আক্রান্ত হতে পারেন।
রোগীর যত্ন নিতে হবে
রোগীকে কখনও নোংরা বা স্যাঁতসেঁতে ঘরে রাখবেন না। বরং তাঁর ঘরে যেন যথেষ্ট আলো-বাতাস চলাচল করে।প রিচ্ছন্নতার দিকেও নজর দিতে হবে। শরীরে জ্বরের সঙ্গে বেদনাদায়ক ফোস্কা থাকায় প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাবেন না।
ত্বকের প্রদাহ কমাতে ক্যালামাইন লোশন লাগাতে পারেন।পক্স ভাইরাসঘটিত রোগ, তাই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে কাজ হবে না। খাবারদাবার খুব হালকা খেতে হবে, তেলমশলা এড়িয়ে তেতো খেতে হবে বেশি করে।
পক্স প্রতিরোধে টিকা নিয়ে রাখা জরুরি। ছোটদের সময় মতো প্রতিষেধক দিয়ে রাখতে হবে।