Cardiac Arrest

শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান শুধু হৃদ্‌রোগই নয়, ডেকে আনতে পারে মৃত্যুও! কিন্তু কেন?

বেশির ভাগ মানুষেরই শীতকালে স্নান করতে অনীহা দেখা যায়। ঠান্ডা পড়লে স্নান বন্ধ করে দেওয়া যেমন ঠিক নয়, তেমনই ঠান্ডা জলে স্নান করাও ঠিক নয়। কিন্তু কেন? কী বলছেন চিকিৎসকরা?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২২ ১২:১১
Share:

শীতে বাড়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি। ছবি- সংগৃহীত

শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বা শরীরে ব্যথা-বেদনা বাড়ার মতোই বাড়তে থাকে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। শুধু তা-ই নয়, অভ্যাসবশত অনেকেই শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা সতর্ক করছেন। বলছেন, এই সময়ে ঠান্ডা জলে স্নান করলে হৃদ্‌যন্ত্র বিকল হয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

Advertisement

ঠান্ডা জলে স্নান করলে কী হয়?

বিশেষজ্ঞদের মত, শীতের সময়ে হঠাৎ ঠান্ডা জল দেহের সংস্পর্শে এলে, ঠান্ডার প্রভাবে রক্তবাহিকাগুলি সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ফলে রক্ত সঞ্চালনের গতি স্লথ হয়ে পড়ে। সারা দেহের রক্ত সরবরাহের মাত্রা ঠিক রাখতে হদ্‌যন্ত্র তখন নিজের গতি বাড়িয়ে দেয়। রক্তচাপ বেড়ে যায়। অস্বাভাবিক হার্টরেট তখন অচিরেই বিপদ ডেকে আনতে পারে।

Advertisement

শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করতে গিয়ে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়া এবং সেখান থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে দেখা গিয়েছে।

সারা বছরই হালকা গরম জলে স্নান করা উচিত। ছবি- সংগৃহীত

শীতকালে হৃদ‌্‌রোগের ঝুঁকি এড়াতে কী কী করবেন না?

১) ঠান্ডা জলে স্নান নয়

শুধু শীতকাল নয়, বিশেষজ্ঞদের মতে সারা বছরই হালকা গরম জলে স্নান করা উচিত। ঠান্ডা আবহাওয়ায় স্নান করতে গেলে এমনিতেই আড়ষ্ট লাগে। তার উপর দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে স্নানের জলের তাপমাত্রায় এতটা ফারাক থাকলে সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।

২) গরমের পোশাক পরা

ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে অবশ্যই গরমের পোশাক পরা উচিত। শুধু স্নানের জলে নয়, শরীরকে ভিতর থেকে গরম করতে না পারলেও সমস্যা হতে পারে।

৩) শরীরচর্চা

শীকতালে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠতেও ইচ্ছে করে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও সময় করে অন্ততপক্ষে আধ ঘণ্টা শরীরচর্চা করতেই হবে। হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাটি, দৌড়ের মতো শারীরিক কসরতগুলি করলে শরীর যেমন ফিট থাকে, তেমনই শরীর ভিতর থেকে গরমও থাকে।

৪) স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

এই সময়ে নানা রকমের মরসুমি ফল, শাকসব্জি পাওয়া যায়। তাই যতটা সম্ভব টাটকা, সতেজ সব্জি খেয়ে সারা বছরের রসদ সংগ্রহ করে নিতে হবে। চিনি দেওয়া খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিয়ে এই সময়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া চেষ্টা করা উচিত। খুব ভাল হয় যদি সব খাবারেই আদা দিতে পারেন।

৫) রক্তচাপ ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ

কাজের চাপে অনেক সময়েই নিয়মিত রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা মেপে দেখা হয় না। ভুলটা হয় এখানেই। শুধু তা-ই নয়, শীতকালে জল খাওয়াও কম হয়, তাই কিডনির উপরেও প্রভাব পড়ে। তার উপর চলতে থাকে নানা রকম খাওয়াদাওয়া। চুপিসারেই তৈরি হয় মৃত্যুফাঁদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন