Tips to Avoid Piles Risk

বাথরুমে বসার ঠিক নিয়ম জানেন তো? সঙ্গে রাখতে হবে ছোট টুল, নয়তো অজান্তেই বাড়বে ঝুঁকি!

দীর্ঘ ক্ষণ কমোডে বসে থাকলে পাইল্‌স বা অর্শের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে ৫টি উপায়ের কথা জানাচ্ছেন চিকিৎসক।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৪৫
Share:

অর্শ, হেমোরয়েডসের ঝুঁকি কমাতে কী কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত।

বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে পছন্দের কোণটি হল, বাথরুম। ওই সময়েই কেবল নিজের সঙ্গে সময় কাটানো যায়। ‘মি-টাইম’-এর জন্য উপযুক্ত জায়গা বাথরুম। আর তাই আধ ঘণ্টা বা তার থেকেও বেশি সময় পেরিয়ে যায় সেখানে বসেই। মিল পাচ্ছেন নিজের সঙ্গে? তা হলে এখনই সতর্ক হোন। জটিল রোগ ডেকে আনছেন অজান্তেই। সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলে ৫টি পরামর্শ দিলেন চিকিৎসক।

Advertisement

সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করলেন অ্যানোস্থেশিয়োলজিস্ট এবং ইন্টারভেনশনাল পেন মে়ডিসিনের চিকিৎসক কুণাল সুদ। দীর্ঘ ক্ষণ কমোডে বসে থাকলে পাইল্‌স বা অর্শের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই রোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে ৫টি উপায়ের কথা জানাচ্ছেন চিকিৎসক।

পোস্টে তিনি লিখলেন, “আমি আমার রোগীদের বার বার সতর্ক করি। যাঁরা বলেন, তাঁরা অনেক ক্ষণ বাথরুমে থাকেন, তাঁদের আমি পাইল্‌স বা অর্শের সম্ভাবনার কথা বলি। বাথরুমে বসে ফোন ঘাঁটার অভ্যাস অনেকের। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ এই ভঙ্গিতে বসে থাকলে তলপেটের পেশির উপর চাপ পড়ে, মলনালির শিরা ফুলে যায় এবং হেমোরয়েডস রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ৫টি পন্থা মেনে চলা উচিত।”

Advertisement

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পা দু’টিকে মেঝে থেকে একটু উপরে তুলতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।

অর্শ, হেমোরয়েডসের ঝুঁকি কমাতে কী কী করবেন?

১. সম্ভব হলে বাথরুমের কাজ ৫ থেকে ১০ মিনিটে সেরে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

২. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে মলদ্বারে অনেকে বেগ প্রয়োগ করেন, কিন্তু সেটি এড়িয়ে চলতে হবে।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পা দু’টিকে মেঝে থেকে একটু উপরে তুলতে হবে। পারলে ছোট নিচু টুল রাখবেন কমোডের সামনে। সেটিতে পা তুলে বসলে বেগ আনতে কষ্ট হবে না।

৪. এ ছাড়া মলত্যাগকে মসৃণ করতে উচ্চ ফাইবার-যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। যেগুলির মধ্যে সবচেয়ে কার্যকর বলে মনে করা হয়, ইসবগুল। তা ছাড়া প্রচুর জল খেতে হবে।

৫. শরীরকে সক্রিয় রাখতে হবে। খুব বেশি ক্ষণ চেয়ারে বসে থাকলেও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। আর এর ফলে বাথরুমে বেশি ক্ষণ বসে থাকার প্রবণতা বাড়ে।

হেমোরয়েডস হলে কখন চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া উচিত?

অর্শ হল ভ্যারিকোজ় ভেন-এর মতো অসুখ। মলদ্বারের ভিতরে তৈরি হয় অর্শ। যেটিকে অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস বলা হয়। এগুলি মলদ্বারের চারপাশের ত্বকের নীচেও তৈরি হতে পারে। এটিকে আবার বাইরের হেমোরয়েডস বলা হয়। যদি মলত্যাগের সময়ে রক্তপাত হতে থাকে, অথবা অর্শ হওয়ার পর বাড়িতে সপ্তাহখানেক চিকিৎসা করার পরেও ঠিক না হয়, তা হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। নিজে নিজে সেরে ওঠা সম্ভব নয় সে ক্ষেত্রে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement