Side Effects of Turmeric

শীতকালে সুস্থ থাকবেন ভেবে রোজ হলুদ তো খাচ্ছেন, কিন্তু সকলেরই কি উপকার হয়?

শীতকালীন নানা রকম সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে হলুদ সাহায্য করে, এ কথা নিঃসন্দেহে সত্যি। উপকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে হলুদ খাওয়ার অভ্যাস কি আদৌ ভাল? কী কী সমস্যা হতে পারে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ২০:১২
Share:

ভিটামিন, নিয়াসিন, ক্যালশিয়াম, সোডিয়ামের মতো উপকারী স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হলুদ শরীরের যত্ন নেয়। ছবি: সংগৃহীত

শরীরে যত্ন নেওয়া থেকে ত্বকের পরিচর্যা— দৈনন্দিন জীবনে হলুদের ভূমিকা বলাই বাহুল্য। রান্নার অপরিহার্য উপাদান হল হলুদ। রান্না ছাড়াও হলুদের এই বহুমুখী ব্যবহারের চল শুরু হয়েছে কয়েক দশক আগে থেকে। হলুদের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণাও কম হয়নি। প্রতি বার সামনে এসেছে হলুদের ভিন্ন ভিন্ন গুণের কথা।

Advertisement

হলুদে থাকা কারকিউমিন আদতে এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এই পলিফেনল যৌগটি শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে বিভিন্ন অসুস্থতা থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে। ভিটামিন, নিয়াসিন, ক্যালশিয়াম, সোডিয়ামের মতো উপকারী স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর হলুদ শরীরের যত্ন নেয়। ত্বকের অনেক সমস্যা দূর করতেও নির্ভরযোগ্য ভরসা হতে পারে হলুদ। ত্বকের জেল্লা ফেরানো থেকে শুরু করে শীতকালীন নানা রকম সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে হলুদ। হলুদ উপকারী হলেও অতিরিক্ত পরিমাণে হলুদ খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু ভাল নয়। প্রতি দিন ২,০০০-২,৫০০০ মিলিগ্রাম হলুদ খাওয়া শরীরের পক্ষে ভাল। এই পরিমাণ হলুদ শরীরে ৬০-১০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন সরবরাহ করে। এর ফলে আয়রনের ঘাটতি হওয়া ছাড়াও দিনে অত্যধিক কারকিউমিন খেলে হজমের সমস্যা থেকে মাথাব্যথার মতো কিছু শারীরিক অসুস্থতার জন্ম হয়।

ত্বকের জেল্লা ফেরানো থেকে শুরু করে শীতকালীন নানা রকম সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করে হলুদ। ছবি: সংগৃহীত

১) কিডনির সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, হলুদ তাঁদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। হলুদে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীরের পিত্ত নিঃসরণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে। ফলে কি়ডনি সংক্রান্ত আরও অনেক জটিলতার সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিডনির রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত হলুদ খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

Advertisement

২) ডায়াবিটিস রোগীদের হলুদ না খাওয়াই ভাল। অনেকেরই ধারণা, হলুদ খেলে বোধ হয় নিয়ন্ত্রণে থাকে শর্করার মাত্রা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। বরং ডায়াবিটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে এর ফলে। হলুদের প্রভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে। তাই ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ভেবে ভুলেও খাবেন না হলুদ।

৩) ‘গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজঅর্ডার’-এর মতো জটিল সমস্যা থাকলে হলুদ এড়িয়ে চলাই ভাল। কারণ হলুদে থাকা বেশ কিছু উপাদান এই সমস্যা কমানোর বদলে বাড়িয়ে দিতে পারে। হলুদ খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

৪) শরীরে আয়রনের ঘাটতি রয়েছে? তা হলে হলুদ খাওয়া বন্ধ করা উচিত। লিভারজনিত যে কোনও সমস্যায় হলুদ কিন্তু বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। হলুদ খাওয়া অস্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু শরীরে যে পরিমাণ হলুদের প্রয়োজন, তার চেয়ে হলুদের সরবরাহ বেশি হয়ে গেলে মুশকিল হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন