ডায়েট পানীয় কেন ক্ষতিকর? ছবি: ফ্রিপিক।
ডায়েট পানীয় খাওয়াও বিপজ্জনক? ডায়েট সোডা অন্য ডায়েট পানীয় এক ক্যান খেলেও তা থেকে লিভারের জটিল অসুখ হতে পারে, এমনই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। ডায়েট পানীয়ে চিনির বিকল্প হিসেবে যা ব্যবহার করা হয়, তাতে লিভারের কোষের ক্ষয় হতে থাকে। ফলে ‘মেটাবলিক ডিসফাংশন-অ্যাসোসিয়েটেড স্টিয়াটোটিক লিভার ডিজ়িজ়’ (এমএএসএলডি) রোগের ঝুঁকি বাড়ে যা, পরবর্তীতে ক্যানসারের আশঙ্কা বহু গুণে বাড়িয়ে তোলে।
ডায়েট পানীয়ে চিনি থাকে না, এমনটাই বলা হয়। তাই এই ধরনের পানীয়কে স্বাস্থ্যকর ভেবে অনেকেই প্রায় রোজ খেয়ে থাকেন। আর তাতেই সর্বনাশটা হয়। দেশের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ থেকে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুসারে, যে কোনও ডায়েট পানীয়ে চিনির বিকল্প হিসেবে সাধারণত অ্যাসপারটেম নামক কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা হয়। এই অ্যাসপারটেমে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকে। ১৯৮১ সালে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) অ্যাসপারটেম ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। ভারত-সহ আরও ৯০টি দেশে এই কৃত্রিম চিনি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু গবেষকেরা দেখেছেন, অ্যাসপারটেম যদি বেশি পরিমাণে রক্তে মেশে, তা হলে ক্ষতিকর।
অ্যাসপার্টেম থেকে তৈরি হওয়া শর্করা তাড়াতাড়ি গলে যায় ঠিকই, কিন্তু কৃত্রিম চিনিতে এর পরিমাণ এতই বেশি করে দেওয়া থাকে যে ক্ষতি রোখা যায় না। সবচেয়ে আগে ক্ষতি হয় লিভারের। এর থেকে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা বাড়ে, যা পরবর্তী সময়ে গিয়ে লিভারের ক্ষত বা সিরোসিসের কারণ হয়ে ওঠে। এমনকি ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে।
এখানেই শেষ নয়। এই ধরনের ডায়েট পানীয়কে বহু দিন ধরে সংরক্ষিত রাখার জন্য তাতে প্রিজ়ারভেটিভ মেশানো হয়। ফলে ক্ষতির বহর বাড়ে বই কমে না। এই সব ক্ষতিকর উপাদান থেকে অ্যালঝাইমার্সের মতো অসুখও হানা দিতে পারে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন, ডায়েট পানীয়ের বদলে তাই ঘরে তৈরি স্মুদি বা ডিটক্স পানীয় খাওয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।