ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গ। ছবি: সংগৃহীত।
ক্যানসারের ইঙ্গিত বহন করতে পারে শরীরের ছোটখাটো পরিবর্তনই। ঠিক সময়ে চিহ্নিত করতে পারলে রোগ শনাক্তকরণের কাজে বিলম্ব হয় না। আগে থেকে সতর্ক হলে চিকিৎসা পদ্ধতিও খানিক সহজ হয়। সম্প্রতি রায়পুরের ক্যানসারের চিকিৎসক জয়েশ শর্মা সমাজমাধ্যমে সেই সমস্ত সাধারণ উপসর্গের তালিকা প্রকাশ করলেন। ভারতে সবচেয়ে বেশি যে ক্যানসারগুলির প্রকোপ বেশি, সেগুলির বিষয়েও সতর্ক করলেন চিকিৎসক।
মানুষ সাধারণত বড় অসুখের ভয় পায়, কিন্তু ছোট ছোট পরিবর্তনকেই উপেক্ষা করে ফেলেন। অথচ ক্যানসারের মতো জটিল রোগও প্রায়শই সাধারণ ইঙ্গিত দিয়েই শুরু হয়। এমনই চারটি ক্যানসারের প্রাথমিক উপসর্গের কথা বললেন চিকিৎসক—
স্তনের ক্যানসার: চিকিৎসকের কথায়, ‘‘ভারতে মেয়েদের ক্যানসারের মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হল, স্তনের ক্যানসার। স্তনে কোনও জমা মাংসপিণ্ড বা স্ফীতি লক্ষ করলে জানবেন, সেটি ক্যানসারের প্রথম উপসর্গ হতে পারে।’’
মুখের ক্যানসার: চিকিৎসকের মতে, মুখের ভিতর ছোট আলসার বা ঘা যদি ১৫ দিন পেরিয়েও না সারে, তা হলে সেটি মুখের ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।
ফুসফুসের ক্যানসার এবং গলার ক্যানসার: হঠাৎ রক্তপাত হলে সেটিকে কখনওই উপেক্ষা করা উচিত নয়। কাশি হলে কফের সঙ্গে রক্ত বেরোলে সেটা ফুসফুসের বা গলার ক্যানসারের প্রাথমিক সতর্কবার্তা হতে পারে।
জরায়ুমুখের ক্যানসার: চিকিৎসক বলছেন, ‘‘মেয়েদের ক্যানসারের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জরায়ুমুখের ক্যানসার। ঋতুস্রাবের চক্র ছাড়াও রক্তপাত হলে, বা রজোনিবৃত্তির পর হঠাৎ রক্তপাত দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে।’’
শেষে জয়েশের বক্তব্য, ‘‘সকলেই হয়তো এ সব শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন। সকলেরই হয়তো মুখ থেকে রক্তপাত হয়েছে কখনও না কখনও। অধিকাংশ সময়েই উপসর্গগুলি ক্যানসারের চিহ্ন নয়। কিন্তু যদি রক্তপাতের পুনরাবৃত্তি হয়, তা হলে বুঝতে হবে, শরীর কিছু বলার চেষ্টা করছে। তখন আর দেরি করা উচিত নয়। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে, তত দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব।’’