সুগন্ধি মোমবাতির স্বাস্থ্যগুণও অনেক। ছবি: শাটারস্টক।
লোডশেডিং হলেই খোঁজ পড়ে মোমবাতির। এ ছাড়া প্রয়োজন বলতে কালীপুজো, দীপাবলি কিংবা অন্য কোনও পুজোর আচার অনুষ্ঠানে। অনেকের আবার শখ থাকে মোমাবাতির রোশনাইয়ে ঘরবাড়ি সাজনোর। বাজারে ঘর সাজানোর জন্য সুগন্ধি মোমবাতির ছড়াছড়ি! বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি মোমবাতি কিনতে পাওয়া যায়। মন চাইলে মোমবাতি দিয়েই সাজিয়ে ফেলুন আপনার গৃহকোণ।
ঘরে সুগন্ধি মোম জ্বালিয়ে রাখা কেন উপকারী?
১) দিনের শেষে কাজ সেরে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন? এই সময় একটু আরাম পেতে বাড়ির মধ্যেই তৈরি করুন অন্য রকম পরিবেশ। সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখুন। এতে সারা দিনের কাজের ধকল, শারীরিক ক্লান্তি দূর হবে।
২) সব সময় স্মার্টফোনের পর্দা আর বড় আলো— এই দুই-ই চোখকে আরাম পেতে দেয় না। ঘরের মধ্যে নিরিবিলি পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি মোমবাতি চোখকে আরাম দেয়। রোজ কিছু ক্ষণ মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখুন।
৩) অনেকেরই রাতে ঘুম আসতে সমস্যা হয়। অগত্যা রাত জেগে মোবাইল ঘাঁটা, আর না হয় ওয়েব সিরিজ় দেখা। এতে আরও ঘুমের বারোটা বাজে। ঘুমোনোর আগে ঘর অন্ধকার করে সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। মোমের আলোর স্নিগ্ধতায় ও সুগন্ধে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, ক্লান্তি দূর হয়, ঘুম ঘুম ভাব আসে চোখে। অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে এই কৌশল এক বার মেনে চলতে পারেন।
৪) অফিসারের চাপ, কর্মব্যস্ততা বাড়িতেও যেন পিছু ছাড়ে না। তার উপর সংসার খরচের চিন্তা, বাড়ির চিন্তা— সব মিলিয়ে মনের মধ্যে সারা ক্ষণ কাজ করতে থাকে উদ্বেগ! এই উদ্বেগ কাটাতে বাড়ি ফিরে ঘরে কয়েকটি সুগন্ধি মোম জ্বালিয়ে রাখুন। উদ্বেগ কাটাতে এই টোটকার জবাব নেই।
৫) বাড়িতে সন্ধ্যার দিকে সুগন্ধি মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখলে মনমেজাজ চাঙ্গা থাকে। যে কোনও কাজে সহজেই মনযোগ বসানো যায়।