রাঙা আলু খেলে কি সুগার বাড়ে? ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালির হেঁশেলে আলু না থাকলে চলে না। মাছের ঝোল হোক বা বিরিয়ানি, নিরামিষ চচ্চড়ি হোক বা ভাজাভুজি, পদ যা-ই হোক, তাতে আলু থাকতেই হবে!
ডায়াবিটিসের রোগীদের বড় সমস্যা, আলু খেতে ভাল লাগলেও স্বাস্থ্যের কথা ভেবে তা খাওয়ার উপায় নেই। পুষ্টিবিদেরা কিন্তু বলছেন, সাধারণ আলুর বদলে কিন্তু রাঙা আলু খাওয়াই যায়।
রাঙা আলুতে যে হেতু ক্যালোরি এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি, তাই অনেকেরই ধারণা, ডায়াবেটিকেরা এই সব্জি খেতে পারেন না। তবে পুষ্টিবিদদের মতে, রাঙা আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই অনেকটাই কম। সঙ্গে প্রয়োজনীয় ফাইবার এবং খনিজও রয়েছে। তাই স্টার্চ জাতীয় সব্জি হলেও পরিমিত পরিমাণে রাঙা আলু খেলে ডায়াবেটিকদের কোনও সমস্যা হয় না।
রাঙা আলু খেলে আর কী কী উপকার হয়?
১) রাঙা আলুতে দু’ধরনের ফাইবার রয়েছে। এর ফলে দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। অন্ত্র ভাল রাখতেও ফাইবারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
২) যদিও রাঙা আলুতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই বেশি, কিন্তু তা ক্ষতিকর নয়। শরীর গঠনের জন্য যেটুকু কার্ব প্রয়োজন, তা এই সব্জি থেকেই পাওয়া যেতে পারে। তাই ‘নো কার্ব’ ডায়েট করলেও রাঙা আলু খাওয়া যায়।
৩) রাঙা আলুতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়ে যায়। এই ভিটামিন এ আবার চোখের জন্য ভাল। রাতকানার মতো রোগ ঠেকিয়ে রাখতে রাঙা আলুর বিশেষ ভূমিকা হয়েছে।
৪) রাঙা আলুতে ভিটামিন এ, সি, ফাইবার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু উপাদান মজুত থাকে। এই উপাদান সাধারণ আলুতে পাওয়া যায় না। তাই বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের রাঙা আলু খাওয়াতে বলা হয়।
৫) রাঙা আলুতে ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে। এতে থাকা ক্যারোটিনয়েড যৌগ পাকস্থলী, কিডনি ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।