শীতে কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রেহাই পাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
শীতকাল মানেই বাজারে ভাল গুড়ের দেখা মেলে। এই সময় নানা রকম পদে গুড় ব্যবহার করার চল রয়েছে। কিন্তু সকালে খালি পেটে কোনও দিন গুড় এবং ছোলা খেয়েছেন কি? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ছোলায় ফাইবার এবং প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। নিয়মিত গুড় খেলে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। এ ছাড়াও গুড়ের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় এমন অনেক খনিজ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। বেঙ্গালুরুবাসী পুষ্টিবিদ প্রিয়ঙ্কা খন্ডেলওয়াল বলেন, “কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাটে সমৃদ্ধ এই খাবার তৎক্ষণাৎ শক্তির জোগান দেয়। রক্তে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণের মাত্রা ঠিক রাখে।” প্রতি দিন সকালে নিয়ম করে যদি গুড়, ছোলা খান, তা হলে আর কী কী উপকার হবে জানেন?
১) শীতের মরসুমে ত্বক জেল্লা হারাচ্ছে? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, গুড় এবং ছোলার মধ্যে রয়েছে অফুরন্ত জ়িঙ্ক। ত্বকের জন্য এই উপাদানটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। তাই গুড় এবং ছোলার গুণে ত্বক হয়ে উঠতে পারে জেল্লাদার।
২) দেহের বিভিন্ন অংশের পেশির জোর বাড়িয়ে তুলতে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। সঙ্গে গুড় এবং ছোলা খেতে শুরু করুন। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, সহজপাচ্য ফাইবার, পটাশিয়াম এবং বিভিন্ন খনিজে ভরপুর ছোলা-গুড়ের জুটি পেশির দুর্বলতা কাটিয়ে দিতে পারে।
৩) গুড় এবং ছোলার মিশ্রণ বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়। স্থূলত্বের সমস্যায় ভুগছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই খাবার।
৪) শীতকালে বাতাসে আর্দ্রতার অভাব দেখা দেয়। জল খাওয়ার প্রবণতাও কমে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পড়েন অনেকেই। ছোলার মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং হজমকারক উৎসেচক ক্ষরণে সাহায্য করে গুড়। ফলে এই সমস্যা সহজেই দূর করতে পারে ছোলা-গুড়।
৫) মাসের নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঋতুস্রাবের কষ্ট ভোগ করতে হয় অনেক মহিলাকেই। শরীর থেকে অনেকটা পরিমাণ রক্ত বেরিয়ে যায় প্রতি মাসে। ফলে শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিতে পারে। সেই আয়রনের ঘাটতি মেটাতে পারে গুড়। সঙ্গে ছোলার প্রোটিন এই সময়ে শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতেও সাহায্য করে।