Obesity In Children

খুদের ওজন দিন দিন বাড়ছে? কোন কোন অভ্যাসে বদল না আনলে বিপদ হতে পারে?

ওবেসিটি নিয়ে প্রথম থেকে না ভাবলে তা বড় সমস্যায় ফেলবেই। তাই কিছু নিয়ম প্রথম থেকে মানা উচিত। কোন কোন অভ্যাস থাকলেই ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়ে?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২৩ ১৭:১৫
Share:

কেবল পড়াশোনা নয়, তার পাশাপাশি নানা গুণে পারদর্শী হয়ে উঠতে গিয়ে তাদের হাতেও সময় বড় কম। ছবি: শাটারস্টক

ইঁদুরদৌড় কেবল আমার-আপনার নয়। আধুনিক জীবনে ব্যস্ততার ছায়া পড়েছে বাড়ির খুদে সদস্যটির উপরেও। কেবল পড়াশোনা নয়, তার পাশাপাশি নানা গুণে পারদর্শী হয়ে উঠতে গিয়ে তাদের হাতেও সময় বড় কম। আর এই সময়ে ব্যস্ততার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে মা-বাবারা পড়েছেন ফ্যাসাদে। কখনও বা শিশুর ঘুম কমিয়ে দিতে হচ্ছে সিলেবাসের চাপে। কোথাও আবার মা-বাবার প্রত্যাশার বহর চেপে বসছে শিশুর কাঁধে। সেই মারণচাপ স্ট্রেস হয়ে কামড় দিচ্ছে শৈশবে। আর এই সবগুলিই ডেকে আনছে খাওয়ার অনিয়ম, কম ঘুমের মতো অভ্যাস। যার জেরে ওবেসিটি তাড়া করে বেড়াচ্ছে অকালেই।

Advertisement

ছোটবেলা থেকেই শিশুকে নির্দিষ্ট নিয়মে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে। মা-বাবাকেও মানতে হবে কিছু নিয়ম। রান্না করতে ইচ্ছে করছে না বলে শিশুকে যথেচ্ছ সাপ্লিমেন্ট বা হেলথ ড্রিঙ্ক খাইয়ে রাখা, কিংবা যখন তখন বায়না করলেই চকোলেট দিয়ে বায়না মেটানো, ঘুম থেকে তুলে পড়তে বসানো— এ সব অভ্যাস বদল আনতে হবে। ওবেসিটি নিয়ে প্রথম থেকে না ভাবলে তা বড় সমস্যায় ফেলবেই। তাই কিছু নিয়ম প্রথম থেকে মানা উচিত। কোন কোন অভ্যাস থাকলেই ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়ে?

পর্যাপ্ত ঘুম

Advertisement

স্কুলে পড়াকালীন শিশুর বুদ্ধি ও দেহের বিকাশ ঘটে। তাই এই সময় ঘুমে কোপ বসালে অসুখ সেই জায়গাটা পূরণ করবে। তাই যতই পরীক্ষার পড়াশোনার চাপ থাকুক না কেন, ঘুমের সময় যেন কোনও ভাবেই সাত-আট ঘণ্টার কম না হয়, সে দিকে নজর দিতে হবে।

খাওয়া

পুষ্টিবিদের কাছে যান শিশুকে নিয়ে। ওর নির্দিষ্ট বয়সে ডায়েট চার্ট ঠিক কেমন হবে, তা মেনে চলুন তাঁদের পরামর্শ মতো। ডায়েট মানেই শিশুর সব প্রিয় খাদ্য বাদ, এমন নয়। চাইল্ড ডায়েটে চকোলেটও থাকে। তাই ভয় নেই। কেবল দরকার কতটা খাবে আর কখন খাবে, তা নিয়ে পরিমিতিবোধ। যা কিনা এই ডায়েট থেকে পাবেন।

শুধু পড়াশোনা আর অন্যান্য গুণে দক্ষ করে তুলতে গিয়ে ওর ছুটোছুটি করার সময়টা কেড়ে নেবেন না। ছবি: শাটারস্টক

বাইরের খাবার

খুদের বায়না মেটাতে যখন তখন বাড়িতেই নুডল্‌স বা ফ্রোজ়েন খাবার এনে বানিয়ে দেওয়ার অভ্যাস থাকলে তাতে রাশ টানুন। প্যাকেটবন্দি স্যুপ ও ঠান্ডা পানীয়ও এড়িয়ে চলুন। এ সবে থাকা অতিরিক্ত চিনি, রাসায়নিক, সোডিয়াম শরীরে ফ্যাটের মাত্রা বাড়ায়। তাই বাড়িতে তৈরি খাবারের উপর জোর দিন। টিফিনকে মুখরোচক করে তুলতে নতুন নতুন চটজলদি রান্নার রেসিপির খোঁজ করুন। একান্তই না পারলে হাত-রুটি, মুড়ি, ওটস, চিঁড়ের পোলাও, সপ্তাহান্তে একটু-আধটু লুচি— এ সবে আস্থা রাখুন। নিয়ন্ত্রণ রেখে মিষ্টিও দিতে পারেন।

পর্যাপ্ত জল

শরীরে জলের অভাব হলে শরীরও সুযোগ বুঝে জল জমিয়ে রাখবে। এতেও শরীর ফোলে। তাই শিশুকে নিয়ম করে জল খাওয়ানোর অভ্যাস করান।

শরীরচর্চা

শুধু পড়াশোনা আর অন্যান্য গুণে দক্ষ করে তুলতে গিয়ে ওর ছুটোছুটি করার সময়টা কেড়ে নেবেন না। খেলার মাঠ সে ভাবে না থাকলে বা খেলার সঙ্গী না পেলে যে কোনও যোগাসনের ক্লাসে বা সাঁতারে ভর্তি করে দিন। এটাকেও পেশার মতো নিয়ে নেবেন না। হালকা চালেই অভ্যাস চলুক, স্রেফ শরীর ঠিক রাখতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন