খাদ্যে বিষক্রিয়ার প্রভাব কাটাতে পারে কিছু ঘরোয়া টোটকা। ছবি: ফ্রিপিক।
হোটেল-রেস্তরাঁয় খেয়ে আসার পরে বমি ভাব বা ডায়েরিয়ায় নাজেহাল হলে বুঝতে হবে, খাবার থেকে বিষক্রিয়া হয়েছে। সে কারণেই চিকিৎসকেরা বারে বারে সতর্ক করে বলেন যে, রাস্তায় বিক্রি হওয়া খাবার, কাটা ফল বা লস্যি-শরবতের মতো পানীয় না খেতে। শিশু ও বয়স্কদের তো বিশেষ করে সাবধান করা হয়। কারণ, খাবারে জন্মানো কিছু ব্যাক্টেরিয়া থেকে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা বাড়ে। ই.কোলাই, সালমোনেল্লা, স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়া, ব্যাসিলাম সিরিয়াসের মতো কিছু ব্যাক্টেরিয়া খাদ্যে বিষক্রিয়ার জন্য দায়ী। যদি বিষক্রিয়ার কারণে বমি বন্ধ না হয়, তা হলে ওষুধ তো খাবেনই, পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু টোটকাও প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।
খাবারে বিষক্রিয়ার প্রভাব ঠেকানোর কিছু টোটকা
রসুন
এক গ্লাসের মতো জল নিয়ে তাতে কয়েকটি রসুনের কোয়া ফেলে দিন। জল ফুটিয়ে নিন ভাল করে। তার পর ছেঁকে নিয়ে সেই জল অল্প অল্প করে খান। রসুনের অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ বিষক্রিয়ার প্রভাব কাটিয়ে দেবে।
লেবুর জল
এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে অর্ধেক পাতিলেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। এই জল খেলে বমি ভাব কমবে। জল না মিশিয়েও শুধু লেবুর রসে মধু মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার খেলে উপকার পাবেন।
তুলসিপাতার রস
দুই থেকে তিন কাপ জলে একমুঠো তুলসিপাতা ফেলে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এই জল সারা দিন ধরে অল্প অল্প করে খেলে উপকার হবে। সংক্রমণের তীব্রতা অনেক কমে যাবে।
জিরের জল
খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে শরীরে যে প্রদাহ তৈরি হয়, তার রেশ কাটাতে পারে জিরে ভেজানো জল। এক গ্লাস জলে জিরে ভিজিয়ে রাখুন। সেই জল ছেঁকে গরম করে খেতে পারেন। অথবা এক গ্লাসের মতো জল নিয়ে তাতে এক চামচ জিরে দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এই জল ছেঁকে নিয়ে খেলে উপকার হবে।