COVID19

Covid-19 Precautions for Kids: দিল্লিতে কোভিড-আক্রান্ত হচ্ছে স্কুল পড়ুয়ারা, নিজের সন্তানকে সুরক্ষিত রাখবেন কী ভাবে

দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট রোগীর মধ্যে ২৭ শতাংশই শিশু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২২ ১৪:৩০
Share:

এই পরিস্থিতিতে যে সব বাচ্চা নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে তাদের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে ফের দ্রুত গতিতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। চিন, হংকং, ভিয়েতনাম, ইউরোপের পাশাপাশি চিন্তা বাড়াচ্ছে রাজধানীও। গত ১৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১২৪৭ জন। কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী সোমবার ২১৮৩ জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন। যা ছিল রবিবারের চেয়েও দ্বিগুণ।

এ বছরে জানুয়ারি মাসের গোড়া থেকে টানা পাঁচ সপ্তাহ বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই করোনা সংক্রমণের লেখচিত্র ছিল নিম্নমুখী। মার্চের শুরু থেকে তা আবার বাড়তে শুরু করেছে। এ দিকে বাড়ি থেকে কাজের পালাও শেষ হয়েছে। স্কুলও খুলে গিয়েছে। অনলাইনের বদলে অফলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় কোভিডের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট রোগীর মধ্যে ২৭ শতাংশই শিশু। প্রায় দু’ বছর পরে তারা স্কুলে যেতে শুরু করেছিল। করোনার সাম্প্রতিকতম স্ফীতিতে মৃদু উপসর্গ নিয়ে নিভৃতবাসে থাকা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ছিল। হাসপাতালগামী রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় শূন্য। করোনা টিকাকেই এর কারণ হিসাবে দেখছেন চিকিৎসকরা। ১২ থেকে ১৮ এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের করোনা টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। কিন্তু ১২ বছরের কম বয়সিদের করোনা টিকা দেওয়ার প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। ফলে এই পরিস্থিতিতে যে সব বাচ্চা নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছে তাদের দিকে বাড়তি নজর দেওয়া প্রয়োজন। বাড়ি থেক অন্য পরিবেশে গিয়ে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়।

Advertisement

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার প্রায় ৫-৬ দিন পর বাচ্চাদের মধ্যে এই লক্ষণগুলি ফুটে ওঠে। প্রাথমিক ভাবে সাধারণ ঠান্ডা লাগার সঙ্গে অনেকেই গুলিয়ে ফেলেন। স্কুলে যাওয়া আসার এই সময়ে যদি কোনও উপসর্গ দেখা যায়, অভিভাবকদের হালকা ভাবে নেওয়া একদমই অনুচিত। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

১) করোনা নিয়ে সন্তানের মধ্যে অযথা ভীতি তৈরি করে দেবেন না। বরং ভাইরাসটি সম্পর্কে তাদের অবহিত করুন।সব রকম কোভিড নির্দেশিকার ব্যাপারে জানান।

Advertisement

২) স্কুলে চলে যাওয়ার পর সন্তানকে নজরে রাখা সম্ভব নয়। তাই তাদেরকেই মাস্ক পরার গুরুত্ব বোঝান।

৩) টিফিন খাওয়ার আগে হাতে ভাল করে স্যানিটাইজার মেখে নেওয়ার কথা বলে দিন।

৪) সন্তানের স্কুলের ব্যাগে অতিরিক্ত মাস্ক, স্যানিটাইজারের বোতল, পরিষ্কার রুমাল দিয়ে দিন।

৫) স্কুলে গিয়ে শারীকিক অসুস্থতা বোধ করলে তা সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষককে জানানোর কথা বলে দিন।

৬) কোভিড সুরক্ষাবিধি না মানলেও কী হতে পারে সেই বিষয়েও সন্তানকে জানিয়ে রাখুন। তবে সব সময়ে মাথায় রাখবেন কোভিড নিয়ে যেন সন্তান আতঙ্কে না থাকে। বরং সাবধান করুন। সচেতন করে তোলার চেষ্টা করুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন