আদার রসম খেলে সর্দি-কাশি, গলাব্যথা হবে না, রইল প্রণালী। ছবি: ফ্রিপিক।
শীত পড়তেই জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা লেগেই থাকে। বাড়িতে শিশু ও বয়স্কেরা থাকলে, তাঁরাও খুব ভোগেন এই সময়ে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। অল্প ঠান্ডাতেই সর্দি-কাশি ধরে যায়। আর শুকনো কাশি একবার হলে আর সারতে চায় না। এই সময়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা, নিউমোনিয়ার সংক্রমণও খুব বেড়েছে। ঠান্ডা গেলে গলায় ব্যথা হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে কণ্ঠস্বরও। এমন পরিস্থিতিতে কেবল ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিকে ভরসা করলে হবে না। সর্দি-কাশি, গলাব্যথা যদি সারাতে হয়, তা হলে রোজ সকাল ও সন্ধ্যায় খেতে পারেন আদার রসম। শুধু গলাব্যথা সারানোই নয়, আদার রসম হজমশক্তিও বৃদ্ধি করবে। পেটের সমস্যা, গ্যাস-অম্বল, গলা-বুক জ্বালাও কমে যাবে।
যে প্রদেশেরই রান্না হোক না কেন, হেঁশেলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মশলা হল আদা। কেবল মশলা হিসেবেই নয়, ভেষজ হিসেবেও আদার অনেক গুণ রয়েছে। ঋতু পরিবর্তনের সময়ে গলায় খুসখুসে কাশি হলেও চটজলদি ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মুখে রাখা যায় আদাকুচি। দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি বা বাসে যাত্রার সময়ে বমি ভাব হলে মুখে দু’-এক টুকরো শুকনো আদা ফেললেই আরাম। নিমেষে উধাও হবে বমি ভাব। কাজেই পেটের গোলমাল ঠেকানো হোক বা বমি বন্ধ করা, অথবা কাশি-গলাব্যথার সমস্যা, ওষুধের বিকল্প হিসেবে আদায় ভরসা রাখেন অনেকেই। তাই আদার সঙ্গে আরও কয়েকটি উপকরণ মিশিয়ে তৈরি করে ফেলুন রসম। পদ্ধতি সহজ, উপকার অনেক।
আদার রসম কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ:
২ চামচ আদাকুচি
১টি বড় টম্যাটো কুচনো
১ চামচ তেঁতুলের ক্বাথ
আধ চামচ জিরে
একমুঠো কারি পাতা
৪-৬টি গোটা গোলমরিচ
৩-৪ কোয়া রসুন
এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো
এক চামচ গোটা সর্ষে
২টি শুকনো লঙ্কা
তেল বা ঘি
আদার রসম। ছবি: শাটারস্টক।
প্রণালী
একটি পাত্রে ২ কাপ জলে টম্যাটোকুচি, হলুদ এবং তেঁতুলের ক্বাথ দিয়ে ফোটাতে দিন যত ক্ষণ না টম্যাটো নরম হচ্ছে। এ বার রসম মশলা বানিয়ে নিন। তার জন্য জিরে, গোটা গোলমরিচ ও রসুন বেটে নিতে হবে। টম্যাটো গলতে শুরু করলে তাতে আদাকুচি ও রসম মশলা দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ৫-৭ মিনিট ফোটান। তবে খুব বেশি ক্ষণ ধরে ফোটাবেন না।
ফোড়নের জন্য একটি ছোট প্যানে ঘি বা তেল গরম করে তাতে গোটা সর্ষে, শুকনো লঙ্কা এবং কারিপাতা ফোড়ন দিন। কম আঁচে নাড়াচাড়া করুন। সুন্দর গন্ধ বার হলে তা রসমের উপর ঢেলে দিন। উপর থেকে ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন।
আদার রসম এক দিন অবধি ফ্রিজে রেখে খেতে পারেন। তবে ভাল করে ফুটিয়ে নিয়েই খেতে হবে। গরম গরম খেলে উপকার হবে।