আচারের গুণেই বাড়বে রোগপ্রতিরোধ শক্তি। ছবি: এআই।
শীতকাল মানেই নানা রোগবালাই জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। সর্দি-কাশি, জ্বর তো থাকেই, সেই সঙ্গে গলা ব্যথা সহ অন্যান্য সংক্রমণ জনিত অসুস্থতাও জাঁকিয়ে বসতে শুরু করে। শীত যত বাড়তে থাকে, অসুস্থতাও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। সুস্থ থাকতে তাই এই সময় শরীরে চাই প্রতিরোধ ক্ষমতা। পুষ্টিকর খাবার খেলেই শরীর রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পায়। তবে এই শীতকালীন রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগাতে পারে ঘরে তৈরি একটি আচার।
কাঁচা হলুদের গুণ অনেক জেনেও অনেকেই খেতে চান না, কারণ একটাই। এর স্বাদ পছন্দ নয় তাঁদের। হলুদের হাচার বানিয়ে নিলেই হয়ে যাবে মুশকিল আসান। এই আচারের অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি আর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ শীতে মরসুমি সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে। এই আচার রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে শরীর চাঙ্গা রাখে, হজমেও সাহায্য করে। শীত বাড়লে গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা বাড়ে অনেকের। হলুদের আচার ডায়েটে রাখলে সেই ব্যথার হাত থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
হলুদের আচারেই জব্দ হবে মরসুমি সংক্রমণ। ছবি:এআই
উপকরণ:
২৫০ গ্রাম কাঁচা হলুদ
২-৩টি চেরা কাঁচালঙ্কা
আধ কাপ সর্ষের তেল
আধ কাপ লেবুর রস
১ টেবিল চামচ হলুদগুঁড়ো
দেড় টেবিল চামচ সর্ষে (গুঁড়ো করা)
১ টেবিল চামচ মৌরি ভাজা (গুঁড়ো করা)
আধ চা চামচ হিং
স্বাদমতো নুন
পদ্ধতি:
কাঁচা হলুদগুলি ভাল করে ধুয়ে কাপড়ে মুছে শুকনো করে নিন। এ বার লম্বা লম্বা করে কেটে নিন। এ বার হলুদগুলি শুকোতে দিন আধ ঘণ্টার জন্য। এ বার কড়াইয়ে সর্ষের তেল ঢেলে গরম করে নিন ধোঁয়া ওঠা পর্যন্ত। একটি বড় পাত্রে সর্ষের তেল ঢেলে ঠান্ডা করে নিন। তেলের মিশ্রণে একে একে নুন, মৌরিগুঁড়ো, সর্ষের গুঁড়ো, হলুদগুঁড়ো, হিং দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণে মিশিয়ে দিন হলুদ আর কাঁচালঙ্কা। মিশ্রণটি একটি কাচের বয়ামে ঢেলে ২-৩ দিন রোদে রাখুন। তার পরেই তৈরি হয়ে যাবে হলুদের আচার।