ছাস বা লস্যির কিউব বানিয়ে রাখলে কী সুবিধা হবে? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
উৎসব-অনুষ্ঠানে দিনভর অতিথি আপ্যায়নের তোড়জোড় করতে গিয়ে নিজের দিকে নজর দিতে পারেন না অনেকেই। অনেক সময় জল খাওয়াও হয় না। তেষ্টার সময় শরবত খেতে ইচ্ছা হলেও উপায় থাকে না, কারণ হাজার কাজের ফাঁকে আবার এ সব বানাবে কে?
মুশকিল আসান হতে পারে ফ্রিজে জমানো বরফ কিউবে। জল নয়, মশলা ছাস বা লস্যি দিয়েই বানিয়ে ফেলা যায় জমাট বাঁধা কিউব। একবার বানালে সপ্তাহভর তা খাওয়া যাবে। তা ছাড়া, উৎসব, অনুষ্ঠানে অস্বাস্থ্যকর খেয়ে পেটের সমস্যা হতে পারে। পেটের স্বাস্থ্যও বজায় থাকবে এতে।
মশলা ছাস কিউব: বাঙালিরা দইয়ের ঘোল খান। তবে বাংলার বাইরে বিভিন্ন রাজ্যে ছাস খাওয়ার চল রয়েছে। এটি মিষ্টি নয়, খেতে হয় নোনতা।এর সঙ্গে মশলার সঠিক মিশ্রণে তা হয়ে ওঠে হজমে সহায়ক।
আগে থেকে ছাস কিউব বানিয়ে রাখলে কী কী সুবিধা? ছবি: সংগৃহীত।
বানানোর পদ্ধতি
টাটকা দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন। হামানদিস্তায় পুদিনাপাতা, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা থেঁতো করে দইয়ে মিশিয়ে নিন। দিতে হবে সৈন্ধব নুন, চাট মশলা, ভাজা জিরে গুঁড়ো। সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে ছাস। মিশ্রণটি বরফ রাখার ট্রেতে কিউবের আকারে জমিয়ে নিন। শরবত খাওয়ার ইচ্ছা হলে আধ গ্লাস জল নিয়ে ৩-৪টি ছাস কিউব ফেলে গুলে নিলেই হল।
লস্যি কিউব
অতিথি আপ্যায়নে বা খাটাখাটনির সময় শরীরে দ্রুত শক্তি জোগাতে হাতের কাছে রাখতে পারেন লস্যি কিউব। টাটকা টক দই ভাল করে ফেটিয়ে নিন। যোগ করুন স্বাদমতো নুন, সৈন্ধব লবণ, ভাজা জিরে গুঁড়ো, বাদাম কুচি। চাইলে রোজ সিরাপও মেশাতে পারেন। এতে গোলাপি রং আসবে। মিশ্রণটি বরফের মতো জমিয়ে নিন। দরকার মতো বার করে জলে মিশিয়ে দিলেই লস্যি মিলবে হাতের কাছে। টক দইয়ে মেলে প্রোবায়োটিক, যা পেটের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। তবে যথা সম্ভব চিনি এড়িয়ে চললেই ভাল।