বিনা খরচেই দাঁত হবে ঝকঝকে। ছবি: সংগৃহীত।
জন্মসূত্রেই এক এক জনের দাঁতের রং এক এক রকম। কারও একটু বেশি সাদা, কারও বা হলদেটে। কিন্তু তার পরেও জীবনধারার কারণে, খাদ্যাভ্যাসের কারণে কারও কারও দাঁত আরও একটু বেশি হলদে হয়ে যায়। সেই দাঁত পরিষ্কার করতে বছরে এক-দু’বার চিকিৎসকের কাছে গিয়ে অনেকে প্রচুর খরচও করেন।
তবে দাঁতের হলদে ছাপ তোলা কঠিন কোনও কাজ নয়। দাঁতের রং নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস। তাই দুধসাদা দাঁত পেতে, বিশেষ কিছু খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। চা-কফি, ওয়াইন, তামাক, সয়া সস্, নরম পানীয়— এই সব নিয়মিত এবং বেশি পরিমাণে খেলে দাঁতে হলুদ ছোপ পড়া স্বাভাবিক। তবে একটু যত্ন নিলেই কিন্তু এই সমস্যায় আর ভুগতে হয় না।
হলুদেই দূর হবে হলদে ছোপ
হলুদ শরীর ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে, রক্ত পরিশুদ্ধ করে, হজমেও সাহায্য করে— হলুদের এই গুণ অনেকেরই জানা। হাসির ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি করতেও হলুদ কিন্তু দারুণ কাজ করে। হলুদ কিন্তু ‘ক্লিনজ়ার’ হিসাবে দারুণ কাজ করে।
হলুদে কারকিউমিন নামক যৌগ থাকে, যাক ঔষধি গুণ রয়েছে। দাঁতের নানা সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে এই যৌগ। মাড়ির সংক্রমণ থেকে শুরু করে দাঁতের ব্যথা, মাড়ির ফোলাভাব কমাতে পারে হলুদ। এর পাশাপাশি দাঁত ঝকঝকে করতেও হলুদ ব্যবহার করা যেতে পারে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
এক চা চামচ নারকেল তেল নিয়ে তাতে ১/৪ চা চামচ হলুদগুঁড়ো খুব ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার সেই মিশ্রণটি মুখে নিয়ে মিনিট পাঁচেক সময় ধরে কুলকুচি করুন। তার পর জল দিয়ে আবারও কুলকুচি করে নিন। সপ্তাহে দু’থেকে তিন দিন এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেলে লরিক অ্যাসিড থাকে, যা মুখে ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ রুখতে পারে। হলুদের সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে দাঁত পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি ডিটক্সও হবে। এই মিশ্রণটি ব্যবহার করলেই যে রাতারাতি দাঁত দুধের মতো সাদা হয়ে যাবে, এমন নয়। নিয়মিত ব্যবহার করলে তবেই হবে কাজ।