কী কী খাওয়ালে শিশুর জ্বর কমবে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
আবহাওয়ার কারণে ডেঙ্গির দোসর হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা। তা ছাড়া সাধারণ সর্দি-জ্বর লেগেই আছে। পেটের সমস্যাও বাড়ছে ছোটদের। খামখেয়ালি আবহাওয়ায় ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়াদের দাপট বাড়ে। এই সময়ে সর্দি-কাশির অ্যাডিনোভাইরাস, রাইনোভাইরাসের উপদ্রব বেড়েছে। ফলে জ্বরের সঙ্গে শ্বাসের সমস্যাও হচ্ছে। শ্লেষ্মা জমছে, ফলে মুখের স্বাদও চলে যাচ্ছে অনেকের। লাগাতার জ্বর বা সর্দিতে ভুগলে এমনিও খাওয়াদাওয়ায় অরুচি আসে। শিশুরা কিছু খেতেই চায় না। কিন্তু বাবা-মায়েদের খেয়াল রাখতে হবে ওষুধের সঙ্গে পথ্যও জরুরি। তাই এমন খাবার খাওয়াতে হবে যা খেলে শিশু দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। ওদের রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বাড়ে।
জ্বরের সময়ে কী কী খাওয়াতে পারেন শিশুকে?
মুসুর ডালের স্যুপ
প্রোটিনের জন্য এই স্যুপ খাাওয়াতে পারেন শিশুকে। প্রথমে মুসুর ডাল ভাল করে ধুয়ে নিয়ে একটি পাত্রে ভিজিয়ে রাখুন। পছন্দ মতো সব্জি ছোট ছোট করে কেটে নিন। এ বার প্রেশার কুকারে সামান্য ঘি দিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ, আদা, টোম্যাটো, কেটে রাখা সব্জি এবং ভেজানো ডাল একসঙ্গে সেদ্ধ করতে দিন। সঙ্গে নুন এবং গোলমরিচ দিতে ভুলবেন না। প্রেশার কুকারে দুটো সিটি উঠলেই নামিয়ে ফেলুন। ছেঁকে নিয়ে উপর থেকে গোলমরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্যুপ।
সহজপাচ্য খাবার
ডালিয়ার খিচুড়ি, ওট্স, রাগি দিয়ে তৈরি খিচুড়ি শিশুর জন্য স্বাস্থ্যকর হবে। ভাতের সঙ্গে চিকেন স্ট্যু, পাতলা করে রান্না করা মাছের ঝোল খাওয়াতে পারেন। মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। গলা ব্যথা বা কাশি কমাতেও সাহায্য করে। ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
প্রোটিন জরুরি
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন ডিমের সাদা অংশ, মাছ, মুরগির মাংস চর্বি বাদ দিয়ে, দুধ–দই ও ও নিরামিষের মধ্যে ছোলা, মুসুর ডাল, সয়াবিন ও নানা রকম বাদাম খেতে পারে।
চিকেন-সব্জির স্যুপ
একটা বড় বাটিতে চিকেন ভাল করে সিদ্ধ করুন। চিকেন জল থেকে তুলে নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। গাজর, পেঁয়াজ, রসুন কুচিয়ে ফুটন্ত জলের মধ্যে দিয়ে দিন। এর মধ্যে পার্সলে, নুন, গোল মরিচ দিন। যত ক্ষণ না সব সব্জি ভাল মতো সেদ্ধ হচ্ছে ফোটাতে থাকুন। এ বার তাতে পালং শাক, মাশরুম ও ব্রকোলি দিন। এর মধ্যে ফেটানো ডিম দিয়ে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। আঁচ থেকে নামিয়ে গোলমরিচ ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।