CPR

নিমতলা ঘাটে তলিয়ে গেলেন ছয় যুবক! জল থেকে উদ্ধারের পর ‘সিপিআর’ কি কাজে আসতে পারে? কী এই পদ্ধতি?

জলে ডোবার ক্ষেত্রে ‘সিপিআর’ পদ্ধতি খুব কার্যকর হয়। কম সময়ের মধ্যে যদি উদ্ধার করা সম্ভব হয়, সে ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা পদ্ধতি কাজে আসতে পারে। কী এই ‘সিপিআর’?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২২ ১৪:২৩
Share:

জলে ডোবা রোগীর ক্ষেত্রে ‘সিপিআর’ পদ্ধতি খুব কার্যকর হয়। ছবি: সংগৃহীত

পরিজনের শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসে গঙ্গায় নেমে তলিয়ে গেলেন বেলেঘাটার ছয় তরুণ। স্থানীয়দের তৎপরতায় উদ্ধার তিন জন। এক জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এখনও দু’জনের খোঁজ চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। জলে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও এমন বহু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। কিছু ক্ষেত্রে সাঁতার না জানার ফলে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। আবার সাঁতারের প্রশিক্ষণ থাকা সত্ত্বেও স্রোতের টানে ভেসে গিয়েছেন, এমন উদাহরণও রয়েছে। জলে ডুবে যাওয়ার পরে নাক-মুখ দিয়ে জল ফুসফুসে প্রবেশ করার ফলে রোগীর শ্বাসরোধ হয়ে আসে আর প্রচুর জল খেয়ে পেট ফুলে যায়। মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি তৈরি হলে এবং ৪-৬ মিনিট মতো শ্বাস বন্ধ থাকলে ধীরে ধীরে মৃত্যু হয়।

Advertisement

পরিজনের শেষকৃত্যে যোগ দিতে এসে গঙ্গায় নেমে তলিয়ে গেলেন বেলেঘাটার ছয় তরুণ। ছবি: সংগৃহীত

জলে ডোবা রোগীর ক্ষেত্রে ‘সিপিআর’ পদ্ধতি খুব কার্যকর হয়। কম সময়ের মধ্যে যদি উদ্ধার করা সম্ভব হয়, সে ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা পদ্ধতি কাজে আসতে পারে। কিন্তু জলে ডোবার দীর্ঘ ক্ষণ পর যদি উদ্ধার করা হয়, সে ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি কাজে না-ও আসতে পারে।

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্যও ‘সিপিআর’ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

কী এই ‘সিপিআর’ পদ্ধতি?

Advertisement

এর পুরো নাম হল ‘কার্ডিয়োপালমোনারি রিসাক্সেশন’। এটি একটি জীবনদায়ী পদ্ধতি। মানুষের হৃদ্‌যন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্র কাজ করা বন্ধ হয়ে গেলে এই পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরে রক্ত ও অক্সিজেন চলাচল স্বাভাবিক করা যায়। ফুসফুস এবং শ্বাসনালিতে জল ঢুকে হৃদ‌্‌যন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্রের কার্যকারিতা বন্ধ হয়ে গেলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্যও ‘সিপিআর’ পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে সাধারণত দু’ধরনের সিপিআরের কথা বলা হয়েছে।

সিপিআর পদ্ধতিতে সঙ্কটজনক মুহূর্তে রোগীর শরীরে দীর্ঘ ক্ষণ অক্সিজেনের প্রবাহ বজায় থাকে। ছবি: সংগৃহীত

হাতের মাধ্যমে সিপিআর

এই পদ্ধতিতে রোগীর বুকের উপর প্রচণ্ড গতিতে চাপ সৃষ্টি করে রক্তপ্রবাহকে সচল রাখা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় এই পদ্ধতিকে ‘চেস্ট কমপ্রেশন’ও বলা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতি রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক ক্ষণ আটকে রাখে।

মুখের মাধ্যমে সিপিআর

এটি একটি চিরাচরিত পদ্ধতি, যেখানে বুকে চাপ দিয়ে ও রোগীর মুখে মুখ লাগিয়ে জোর করে বাতাস ভিতরে ঠেলা হয়। এর মাধ্যমে রোগীর ফুসফুসে অক্সিজেন পৌঁছোয়। এই ধরনের সিপিআর পদ্ধতিতে সঙ্কটজনক মুহূর্তে রোগীর শরীরে দীর্ঘ ক্ষণ অক্সিজেনের প্রবাহ বজায় থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন