Health Benefits of Raisin

পোলাওতে কী ধরনের কিশমিশ দেন? কালো, সবুজ না সোনালি, কোন কিশমিশ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল?

অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে কিশমিশ। আয়রনের খুব ভাল উৎস এই কিশমিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মে ২০২৩ ১৫:২৯
Share:

রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধি করা ছাড়াও কিশমিশের নানা ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। ছবি- সংগৃহীত

পায়েস হোক বা পোলাও, কিশমিশ না দিলে রান্নাটা যেন ঠিক জমে না। তবে রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধি করা ছাড়াও কিশমিশের নানা ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে কিশমিশ। আয়রনের খুব ভাল উৎস এই কিশমিশ। দেড় কাপ কিশমিশে প্রায় ১.৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে। এই পরিমাণ কিশমিশ এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার দৈনিক আয়রনের চাহিদার ৭ শতাংশ এবং পুরুষের চাহিদার ১৬ শতাংশ পূরণ করতে পারে।

Advertisement

আয়রন ছাড়াও কিশমিশে রয়েছে কপার, ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়াম। আয়রন শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করতে এবং কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর এই কাজে আয়রনকে সাহায্য করে কপার, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম। তাই অ্যানিমিয়ার সমস্যা হলে খাদ্যতালিকায় কিশমিশ রাখতেই হবে। তবে বাজারে যে তিন ধরনের কিশমিশ পাওয়া যায়, তার কিন্তু আলাদা গুণাগুণ রয়েছে। তাই কোন ধরনের কিশমিশ খেলে কী রকম উপকার মিলবে, তা জেনে রাখা জরুরি।

বাজারে যে তিন ধরনের কিশমিশ পাওয়া যায়, তার কিন্তু আলাদা গুণাগুণ রয়েছে। ছবি- সংগৃহীত

কালো কিশমিশ

Advertisement

ফাইবার ছাড়াও কালো কিশমিশে রয়েছে আয়রন এবং পটাশিয়াম। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই কিশমিশ চুল পড়া, ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। এ ছাড়াও অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষায় সাহায্য করে কালো কিশমিশ।

সবুজ কিশমিশ

অন্যান্য কিশমিশের তুলনায় সবুজ কিশমিশে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ অনেক বেশি। অ্যানিমিয়ার সমস্যা দূর করার পাশাপাশি বিশেষ ধরনের এই কিশমিশ হার্টের স্বাস্থ্যেও ভাল রাখে।

সোনালি কিশমিশ

আমাদের দেশে সাধারণত সোনালি কিশমিশ বেশি পাওয়া যায়। রান্নায় বা বেকিংয়ে এই কিশমিশের ব্যবহার বেশি। শারীরিক দুর্বলতা কাটানোর পাশাপাশি হাড়ের স্বাস্থ্যরক্ষা করতেও সাহায্য করে সোনালি কিশমিশ।

কিশমিশ কী ভাবে খেলে উপকার মিলবে সবচেয়ে বেশি?

রাতে ভিজিয়ে রাখুন কিশমিশ। সকালে উঠে সেই জল সামান্য গরম করে খেয়ে নিন খালি পেটে। এর পর আধঘণ্টা অন্য কিছু খাবেন না। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, সপ্তাহে রোজ নয়, ২ থেকে ৩ দিন এই জল খেলেই পাবেন উপকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন