Lara Dutta Work Life Balance

‘আমি যা পারি, তা আমার বয়সি বহু মহিলাই পারেন না’ বলছেন লারা, তাঁর সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি কী?

তিনি কি ‘সুপার উওম্যান’! এক সাক্ষাৎকারে লারা জানিয়েছেন, তিনি ১৩ বছরের কন্যার পড়াশোনা, খাওয়াদাওয়ার দিকে নিয়মিত নজর রাখেন। স্বামীর সঙ্গে সময় কাটান। অভিনয়ের পেশা, সামাজিকতা সামলে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টাও চালিয়ে যান!

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৫ ১৭:২৫
Share:

অভিনেত্রী লারা দত্ত। ছবি : সংগৃহীত।

প্রাক্তন ব্রহ্মাণ্ডসুন্দরী লারা দত্ত এখন ৪৬। টেনিস তারকা স্বামী আর ১৩ বছরের সন্তান নিয়ে সংসার তাঁর। পাশাপাশি সামলে নেন তাঁর পেশা— সিনেমা, ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয়ের কাজ, টেলিভিশন শোয়ে বিচারকের দায়িত্ব ইত্যাদি। দশ বছর হল নিজের প্রসাধনীর ব্র্যান্ড তৈরি করেছেন লারা। সেই ব্যবসার নানা দিকও দেখতে হয় তাঁকেই। আবার নানা রকম সামাজিক কাজকর্মও করেন লারা। ৪০ বছর বয়সে এক জন কর্মরত বিবাহিতা নারী সাধারণত কর্মক্ষেত্রের চাপ সামলে, সংসারের দাবিদাওয়া মিটিয়ে নিজের জন্য সময় বার করতে হিমশিম খান। এক সাক্ষাৎকারে লারা জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ১৩ বছরের কন্যার পড়াশোনা এবং খাওয়াদাওয়ার দিকে নিয়মিত নজর রাখেন। স্বামীর সঙ্গে সময় কাটান। একই সঙ্গে সামাজিকতা এবং পেশাজীবনের ব্যস্ততা সামলে নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টাও চালিয়ে যান!

Advertisement

স্বাভাবিক ভাবেই যে প্রশ্নটি এর পরে করতে হয়, তা হল তিনি কি ‘সুপার উওম্যান’! তা না হলে এত কিছু একসঙ্গে সামলান কী করে। পেশার প্রয়োজনেই শরীরের ওজন, ত্বক-চুলের স্বাস্থ্য এবং ফিটনেসের দিকে খেয়াল রাখতে হয় লারাকে। কিন্তু সব দিক সামলে তিনি তা কী ভাবে পারেন? লারা বলছেন, ‘‘আমি যা পারি, তা আমার বয়সি অনেক মহিলাই পারেন না। তবে আমি যে পারি, তার কারণ, আমি রুটিনে চলি এবং খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে আমি অত্যন্ত যত্নবান।’’

কী কী নিয়ম মেনে চলেন লারা?

Advertisement

স্বামী মহেশ ভূপতি এবং কন্যার সঙ্গে অভিনেত্রী লারা দত্ত। ছবি: লারার ইনস্টাগ্রাম থেকে।

আমিষে না!

লারা নিরামিষাশী। তিনি বলছেন, প্রায় ১৬ বছর হল আমিষ খাওয়া বন্ধ করেছেন তিনি। আর তাতে তিনি ভালই আছেন। কোনও অসুবিধা তো হয়ই না, বরং তাঁর মনে হয় নিরামিষ খাবারই তাঁর শরীরের জন্য উপযুক্ত।

রোগা বোলো না!

ফিট থাকাকে গুরুত্ব দিলেও ওজন নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করেন না লারা। তিনি বলছেন, ‘‘আমি কখনওই খুব রোগা হতে চাইনি। জানি, লোকে শুনলে বলবে, আমি মডেলিংয়ের দুনিয়া থেকে এসেছি। আমার রোগা না হওয়ার বিলাসিতা ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও শীর্ণ হওয়া আমার স্বপ্ন ছিল না কখনওই। বরং আমি বরাবর চেয়েছি আমার শরীর যেন শক্তিশালী হয়।’’

স্বামী মহেশের সঙ্গে লারা। ছবি: লারার ইনস্টাগ্রাম থেকে।

মেপেজুপে

লারা বলছেন, তিনি কখনও ক্র্যাশ ডায়েট করেন না। যে হেতু বিনোদনের জগতে আছেন তাই নানা রকম সাজগোজ করতেই হয়। লারা বলছেন, ‘‘কখনও-সখনও মনে হয় না তা নয়। কোনও এক দিন হয়তো মনে হল ওজন আরও ৫ কেজি কম হলে ভাল হত। কিন্তু সেটা ওই দু’-এক দিনই মনে হয়। বাকি সময়টুকু আমি আমার ওজন নিয়ে খুশিই থাকি।’’ লারা জানাচ্ছেন, ক্র্যাশ ডায়েটের বদলে তিনি গুরুত্ব দেন স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ায়। তবে যা-ই খান, মেপে খান।

লারার মন্ত্র!

লারা জানাচ্ছেন, তাঁর ভাল থাকার এবং কাজে থাকার মূল মন্ত্র হল উপভোগ করা। লারা বলছেন, ‘‘জীবনকে প্রতি মুহূর্তে উপভোগ করাই আমার লক্ষ্য। ওটাই আমার মন্ত্র। আমি আমার পছন্দের কাজ করতে চাই। আমার আমার ১৩ বছরের কন্যার খেয়ালও রাখতে চাই। ওর জন্য সুস্থ থাকতে চাই। বয়স বেড়ে যাওয়া নিয়ে অনেকেই হাপিত্যেশ করেন। আমি করি না। আমার কাছে বুড়ো হওয়ার থেকেও জরুরি সুস্থ এবং ফিট থাকা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement