Heart Attack

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া শুধু বিচ্ছেদের কারণ নয়, বাড়ায় হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও, দাবি গবেষণায়

অনেকেরই ধারণা ছিল, দাম্পত্যে ভাল থাকে মন ও শরীর। এ বার একটি গবেষণাতে কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করলেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। দাবি, দাম্পত্যের টানাপড়েন বাড়িয়ে দেয় হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ১২:৪১
Share:

বিবাহিত জীবনের চাপ বাড়িয়ে দেয় হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা? ছবি: প্রতীকী

দাম্পত্য কলহ বাড়িয়ে দিতে পারে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা! বিয়ের পর বেড়ে যাওয়া চাপ হার্টের নানা ধরনের অসুখের অন্যতম কারণ বলে দাবি করেছে সাম্প্রতিক এক গবেষণা। এত দিন অনেকেরই ধারণা ছিল, দাম্পত্য যেমনই হোক, তাতে ভাল থাকে মন ও শরীর। এ বার আমেরিকার ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাতে কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করলেন কিছু গবেষক। বরং তাঁদের দাবি, দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপড়েন বাড়িয়ে দেয় হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা।

Advertisement

‘ইয়েল স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’-এর গবেষকেরা দেড় হাজার রোগীর উপর একটি গবেষণা চালান। গবেষণায় অংশ নেওয়া সকলেই হৃদ্‌রোগের শিকার হয়েছিলেন। হৃদ্‌রোগ হওয়ার পর ১ বছর তাঁরা কেমন থাকেন, তার উপর নজর রেখেছিলেন গবেষকেরা। পাশাপাশি, তাঁদের সকলের কাছে ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন তথ্যও জানতে চান গবেষকেরা। জানতে চাওয়া হয় দাম্পত্যে কোনও টানাপড়েন চলছে কি না।

দেখা গিয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ নারী ও ৩০ শতাংশ পুরুষ জানান, দাম্পত্য জীবনে সমস্যা চলছে তাঁদের। যা থেকে তৈরি হচ্ছে মানসিক উদ্বেগ। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশকেই আবার হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে কোনও না কোনও কারণে। পাশাপাশি, দাম্পত্যে সমস্যা থাকলে বুকে ব্যথা হওয়ার আশঙ্কাও ৬৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা।

Advertisement

হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষায় রোজকার জীবনের বিভিন্ন অভ্যাস খুবই গুরত্বপূর্ণ। —ফাইল চিত্র

গবেষকেরা জানিয়েছেন, ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর বিজ্ঞান সম্মেলনে প্রকাশ করা হবে গবেষণাপত্রটি। প্রধান গবেষক সেনজিং ঝু জানান, হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষায় রোজকার জীবনের বিভিন্ন অভ্যাস খুবই গুরত্বপূর্ণ। দাম্পত্য কলহ থেকে তৈরি হওয়া উদ্বেগ ও মানসিক চাপ হৃদ্‌রোগ থেকে সেরে ওঠার পথে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে বলেই মত তাঁর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন