শরীরচর্চা করার আদর্শ সময়। ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
পরিবার, কাজ ইত্যাদি সব সামলে নিজের জন্য সময় বার করে শরীরচর্চা করা আদপে সহজ নয়। নিয়ম করে ব্যায়াম করার পরিকল্পনা করেও বার বার বিঘ্ন ঘটে। কেউ সকালে সময় পান, কেউ বা বিকেলে। কিন্তু তা নিয়েও ধন্দ থাকে মনে, সকালে না কি বিকেলে, কোন সময়ে ব্যায়াম করলে বেশি ফল পাওয়া যায়? কেউ ভাবেন সকালে, কেউ বা বিকেলে। সম্প্রতি দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভট্ট, ক্যাটরিনা কইফ, প্রীতি জ়িন্টার ফিটনেস প্রশিক্ষক ইয়াসমিন করাচিওয়ালা সে বিষয়ে কথা বললেন সমাজমাধ্যমে।
শরীরচর্চা এবং ব্যায়ামের জন্য সেরা সময় কোনটি? ছবি: সংগৃহীত।
প্রশিক্ষকের মতে, ব্যায়াম করার সেরা বা আদর্শ সময় বলে আদপে কিছু হয় না। যিনি যে সময়ে শরীরচর্চা করতে স্বচ্ছন্দ, সেটিই তাঁর জন্য সেরা। সব কাজ সামলে যে সময়ে ব্যায়াম করতে পারবেন মন দিয়ে, সে সময়টিই বেছে নেওয়া উচিত। শর্ত একটিই, দিনের যে সময়েই ব্যায়াম করুন না কেন, রোজ সেই সময়েই করতে হবে। নিয়মানুবর্তিতায় যেন বিঘ্ন না ঘটে, সেটিই দেখতে হবে কেবল। ইয়াসমিনের কথায়, ‘‘কেউ সকালে ব্যায়াম করতে পছন্দ করেন, কারণ সেই সময়টা তাঁদের জন্য সুবিধাজনক। দিনের শুরুটা যদি ব্যায়াম দিয়ে হয়, তাতে অনেকেই তরতাজা বোধ করেন। অন্য দিকে কাজ শেষ করে সন্ধ্যায় শরীরচর্চা করেন অনেকে। সারা দিনের চাপ মুক্ত করতে সে সময়ে ব্যায়াম করে আরাম পান তাঁরা।’’ তা ছাড়া অনেকেই খালি পেটে ব্যায়াম করতে স্বচ্ছন্দ, কেউ বা অল্প কিছু খেয়ে। সকালে শরীরচর্চা করলে খালি পেটে করা সম্ভব, সন্ধ্যায় করলে পেট হালকা ভর্তি থাকে। পাশাপাশি জিমে অনেকের সঙ্গে শরীরচর্চা করতে ভালবাসেন কেউ। কেউ বা একা, নিরিবিলিতে ব্যায়াম করেন। তাই জায়গা, সময়— সবই নিজের মতো করে বেছে নেওয়া উচিত।
কিন্তু তা-ও সকাল এবং বিকেলে শরীরচর্চা করার একাধিক সুবিধা-অসুবিধা রয়েছে, যেগুলি জেনে নেওয়া উচিত—
ব্যায়াম করার সঠিক সময় আসলে নির্ভর করে আপনার লক্ষ্য ও শরীরের উপর। সকালে ব্যায়াম করলে পাচনক্রিয়া উন্নত হয়, ক্যালোরি ঝরে দ্রুত, আর দিনভর শরীর থাকে সতেজ। তবে ভোরে শরীর পুরোপুরি সজাগ না থাকায় কারও কারও গায়ে জোর বা শক্তি কম থাকে সে সময়ে। ফলে ব্যায়াম করা যায় না ভাল করে। আবার সন্ধ্যায় ব্যায়াম করলে শক্তিবৃদ্ধি হয়, মন ফুরফুরে থাকে। হালকা শরীরচর্চায় এমনকি ঘুমের মানও উন্নত হয়। কিন্তু বেশি রাতে জোরদার ব্যায়াম করলে ঘুম নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া অফিস বা পরিবারের কাজের পর শক্তি সঞ্চয় করে ব্যায়াম করা কঠিন হয়ে পড়ে অনেকের জন্য।