বর্ষাকালে চুমুক দিন বিশেষ ‘জাদু পানীয়ে’। ছবি: শাটারস্টক।
রবিবারের সকালের জলখাবারে হিংয়ের কচুরি আর আলুর দম পেলে আর কী বা চাই? বিউলির ডালেও অনেকে হিংয়ের ফোড়ন দেন। মশলা হিসেবে হিংয়ের জনপ্রিয়তা বহু প্রাচীন। তবে শুধু রান্নার স্বাদ বাড়িয়ে তোলাই আফগানি এই মশলার একমাত্র কাজ নয়। সুস্থ থাকতেও হিংয়ের জুড়ি মেলা ভার।ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কার্বোহাইড্রেটে সমৃদ্ধ হিং শরীরের অনেক সমস্যাই এড়াতে সাহায্য করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী হিঙের জল আদতে সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই। জেনে নিন, হিং মেশানো জল খেলে ঠিক কী কী লাভ হয় শরীরের।
১) শুকনো কাশি, গলা খুসখুস, শ্বাস নিতে অসুবিধা, নাক বন্ধ থাকা ইত্যাদি লেগেই থাকে বর্ষাকালে। সে ক্ষেত্রে হিংয়ের জল খেলে শরীর ও ফুসফুস, দুই-ই চাঙ্গা থাকে।
২) উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হিং রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। তা ছাড়া রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এটি বেশ উপকারী।
৩) হিংয়ের জল বিপাকক্রিয়ার হার বৃদ্ধি করে। হজমের সমস্যা হলে এই পানীয় মোক্ষম দাওয়াই। হজম ভাল হলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটখারাপ, পেটফাঁপার মতো সমস্যা বাগে আনতে নিয়ম করে এই পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন।
৪) ঋতুস্রাবের সময়ে অনেকেই পেশির টান ও অনিয়মিত রক্তক্ষরণের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হন। অনেকের মতে, এই সমস্যাগুলি থেকে চটজলদি আরাম পেতে কাজে আসতে পারে হিং।
৫) বর্ষাকালে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত হিংয়ের জল খেলে ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।