ছবি : সংগৃহীত।
রাতারাতি মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি হয় না। রোগ যা-ই হোক, ডিপ্রেশন, পার্সোনালিটি ডিজ়অর্ডার, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস বা অ্যাংজ়াইটি— সবই দীর্ঘ দিন ধরে ধীরে ধীরে দানা বাঁধে। তার উপসর্গও চোখে পড়ে কদাচিৎ। হঠাৎ মেজাজ বিগড়োনো বা ক্লান্তিবোধ কাটতে না চাওয়া, কাজে অনীহা— এই সব কিছুই মানসিক অসুস্থতার প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। কিন্তু লক্ষণগুলি এতটাই সাধারণ যে, তা সচরাচর চোখে পড়ে না। অথচ কিছু উপসর্গ আগে থেকে খেয়াল করে সতর্ক হলে হয়তো সমস্যা ততটা জটিল হবে না। কোন কোন উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
১। সব সময় ধুঁকছেন
যতই ঘুমোন, তবু ক্লান্তি কাটে না। ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত সব সময়েই ধুঁকছেন। নিজেকে চালু রাখতে কাপের পর কাপ কফি বা চা খাচ্ছেন ঠিকই। তবু কিছুই কাজ করছে না। এমন হলে, তা শারীরিক সমস্যা না-ও হতে পারে। মানসিক ভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়লেও এমন হয়। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, হতাশা থেকে এমন হতে পারে।
২। সব সুতো কেটে বসে আছেন
বন্ধু, পরিচিত বা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে দেখা করার প্রশ্ন এলেই কি মনে মনে কুঁকড়ে যাচ্ছেন? কারও সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে না করলে, লোকজন দেখলে বা কথা বলতে হবে মনে হলে যদি এড়িয়ে যেতে ইচ্ছে করে কিংবা চেনা মানুষের ফোনও ধরতে না ইচ্ছে হলে, এমনকি সমাজমাধ্যম থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিলে বুঝতে হবে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের বাড়তি খেয়াল রাখার সময় এসেছে।
৩। মেজাজ বাঁধনহারা
মেজাজ কোনও নিয়ন্ত্রণ মানছে না? এই কারও উপর চিৎকার করছেন, তো এই কারও কথায় কেঁদে ভাসাচ্ছেন? মানসিক স্বাস্থ্য ভাল না থাকার লক্ষণ হতে পারে ক্ষণে ক্ষণে মেজাজের এমন বদলে যাওয়া।
৪। হাসি-ঠাট্টা অতীত
কোনও কিছুতেই হাসি না পাচ্ছে না? যে কথা শুনে বাকিরা হেসে গড়াগড়ি দিচ্ছে, তা আপনাকে ছুঁতেও পারছে না? তা হলে চিন্তার বিষয়। যদি মস্তিষ্কের ভাল লাগার অংশগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে থাকে, তবে তা ডিপ্রেশনের লক্ষণ।
৫। সোজা-সাপটা ভাবতে পারছেন না
মনসংযোগ করতে না পারা, সিদ্ধান্ত নিতে না পারা, সরল ভাবে ভাবনাচিন্তা করার ক্ষমতা চলে যাওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির লক্ষণ। এমন উপসর্গ দেখা দিলে ব্রেন ফগিংয়ের সমস্যাও হতে পারে।