Kitchen Pharmacy

৫ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক, অসুখবিসুখ সারাতে যা ওষুধের থেকেও ভাল কাজ করে

বিশ্ব জুড়েই গবেষকেরা অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প উপায় খুঁজে চলেছেন। তবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, ঘরোয়া কিছু উপকরণও কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের বিকল্প হতে পারে। সেগুলি কী কী?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৫ ১৫:১০
Share:

ওষুধের বিকল্প হতে পারে হেঁশেলের ৫টি জিনিস। ছবি: ফ্রিপিক।

দু’দিনের জ্বর সারাতে দোকান থেকে চেনা অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খেয়ে ফেলেন অনেকেই। পেটের অসুখ হলেই যথেচ্ছ ব্যবহার হয় জনপ্রিয় মেট্রোনিডাজ়োল গোত্রের ওষুধ। এ ভাবেই কি সাধারণ অসুখবিসুখের সঙ্গে লড়তে কড়া ডোজ়ের অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে যাচ্ছেন বছরের পর বছর? শুধু নিজেই খাচ্ছেন না, বাড়ির শিশু ও বয়স্কদের চিকিৎসাও অ্যান্টিবায়োটিকের ডোজ়ে সেরে ফেলছেন নিজেই। আর তাতেই বিপদ ঘনাচ্ছে। চেনা ওষুধই আর কাজ করছে না, অথবা তার মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। এ সমস্যা থেকে বাঁচতে বিশ্ব জুড়েই গবেষকেরা অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প উপায় খুঁজে চলেছেন। তবে খেয়াল করলে দেখা যাবে, ঘরোয়া কিছু উপকরণও কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের বিকল্প হতে পারে। সেগুলিও জীবাণু নাশ করতে পারে একই ভাবে।

Advertisement

৫ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের চেয়েও ভাল

নিম

Advertisement

নিমে প্রায় ১৪০ রকমের উপাদান রয়েছে, যেগুলি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও প্রদাহনাশক হিসেবে অত্যন্ত কার্যকরী। নিমে নিম্বোলাইড ও নিমবিন নামে দুই উপাদান থাকে যার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে। নিম খাওয়ার পাতে হোক অথবা নিমের তেল, সাবান যা-ই ব্যবহার করুন না কেন, যদি প্রাকৃতিক নির্যাস থেকে সেটি তৈরি হয়, তা হলে হাজারো রকম জীবাণু নাশ করতে পারে। ই কোলাই, স্ট্যাফাইলোকক্কাস অরিয়াস, স্ট্রেপ্টোকক্কাসের মতো ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে পারে নিম।

লবঙ্গ

ইউজেনল লবঙ্গের একটি উপাদান, যা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিসেপটিক ও ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। ই কোলাই, স্ট্য়াফাইলোকক্কাস, সিউডোমোনাসের মতো ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে লবঙ্গ। মূত্রনালির সংক্রমণ, হজমের সমস্যা বা যে কোনও সংক্রামক রোগব্যাধির প্রতিকারে আসতে পারে লবঙ্গ।

রসুন

এতে অ্যালিসিন নামক একটি সালফার যৌগ থাকে, যা তার অ্যান্টিবায়োটিক গুণাগুণের জন্য দায়ী। ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস ও ক্ষতিকর ছত্রাকনাশক হিসেবে কাজ করে রসুন।

হলুদ

হলুদের প্রধান সক্রিয় উপাদান হল কারকিউমিন, যা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। ন্যাশনাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর আয়ুর্বেদিক ড্রাগ ডেভলপমেন্ট-এর তথ্য বলছে, ব্যথার ওষুধের বদলে চুন-হলুদ গরম করে লাগানো অথবা ঋতু পরিবর্তনের জ্বর সর্দির হাত এড়াতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ খাওয়ার প্রচলন যুগ যুগ ধরে। হলুদে আছে যথেষ্ট পরিমাণ ফোলেট (ফোলিক অ্যাসিডের মূল উপাদান), নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ভিটামিন কে, ভিটামিন ই, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট। এখানেই শেষ নয়, কাঁচা হলুদে আছে ভিটামিন সি। সুতরাং সঠিক ভাবে পরিমিত মাত্রায় নিয়মিত হলুদ ব্যবহার করলে অনেক অসুখবিসুখকেই দূরে সরিয়ে রাখা যায় অনায়াসে।

আদা

আদার মূল উপাদান হল জিঞ্জেরল, যা সর্দি, কাশি এবং শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আদা একটি প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক যা গলা ব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement